সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাধারণ মানুষ মূল্যায়নে ভুল করে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণ মানুষ মূল্যায়নে ভুল করে না

ড. সা’দত হুসাইন

সিটি করপোরেশনের মেয়রের ক্ষমতা কম থাকলেও তার সম্মান যথেষ্ট বেশি। তাই এই পদে থেকে সাহসের সঙ্গে ব্যক্তিত্ব ও উদ্যম নিয়ে কাজ করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সা’দত হুসাইন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ স্ব^প্নদ্রষ্টা নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। সেই সঙ্গে তারা মূল্যায়ন করতেও ভুল করে না। গতকাল সন্ধ্যায় বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ড. সা’দত হুসাইন বলেন, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক আওয়ামী লীগের ঘরের লোক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, এক শোবিজ তারকা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও সাধারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতো চেহারা ধারণ করেননি। পোশাক থেকে শুরু করে আচরণ কোথাও নেতার চেহারা নেননি আনিসুল হক। তিনি বলেন, আনিসুল হকের ক্ষেত্রে অনেক নিরপেক্ষ মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন। তারা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের প্রার্থীকে ভোট দিলেও সিটি নির্বাচনে আনিসুল হককে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা ক্যান্ডিডেট দেখে ভোট দিয়েছেন। ড. সা’দত বলেন, কাঠামোগতভাবে সিটি করপোরেশনের মেয়রের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তার ক্ষমতাও নানাভাবে কমিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু এটাও সত্য, ব্যক্তি ইমেজে অনেক কিছুই চলে। আনিসুল হক এটার বড় উদাহরণ। তার আগের মেয়রদের যে ক্ষমতা ছিল তার তাই ছিল। কিন্তু তিনি নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, উদ্যোগ, উদ্দীপনা, আগ্রহ দিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এমন বেশকিছু কাজ আনিসুল হক করেছেন যা আগের কেউ চিন্তাই করেনি। মেয়রের ক্ষমতা না থাকলেও তার সম্মান যথেষ্ট বেশি। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সরাসরি যোগাযোগ থাকে। তাই মেয়রকে সাহস করতে হয়। আনিসুল হক সেটাই করেছেন। তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন। তাই আনিস কিছু ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। তিনি যে সব করতে পেরেছেন তা নয়, কিন্তু তিনি মানুষের মনে সাহস ও আস্থা আনতে পেরেছেন। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পেরেছেন যে তিনি পারবেন। তাই মানুষ তার জন্য র‌্যালি করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর পর মানুষের যে ঢল নেমেছিল তা কিন্তু ছিল দেখার মতো। এ থেকেই বোঝা যায় সাধারণ মানুষ মূল্যায়নে ভুল করে না।

সর্বশেষ খবর