স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত সব তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে এ রাতে রাস্তা বন্ধ করে বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাতে কোনো অনুষ্ঠান না হয়, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না। তবে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি নেই। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরে ‘থার্টিফার্স্ট নাইটে’ রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। এ ছাড়া আতশবাজি, পটকাবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ থেকে নগরবাসীকে বিরত থাকতে হবে। ক্র্যাব এজিএমে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি র্যাবের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
থার্টিফার্স্ট নাইটের হুমকি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই উদযাপন যেন অন্য কারও বেদনা কিংবা বিরক্তির কারণ না হয়ে যায়, সেই দিকটি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।