শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিএনপির কোথাও কেউ নেই

খালেদার মুক্তি আন্দোলনে নেই কর্মসূচি, সফল হয়নি পোস্টার ব্যানার সভা-সমাবেশ

শফিউল আলম দোলন

বিএনপির কোথাও কেউ নেই

টানা ২২ মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময়ে তার মুক্তির দাবিতে কোথাও একটা বড় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। তৃণমূলের চাপ থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রায় ২০ লাখ পোস্টার ছাপিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের কোথাও এ ধরনের কোনো পোস্টার দেখা যায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব পোস্টার লাগানোই হয়নি। দুই-চার জায়গায় লাগানো হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ক্ষমতাসীন দল ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ নিজেও কিছু দিন আগে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে রাত জেগে পোস্টার সেঁটে এলেও সকালেই আর তা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। তবে রাজধানীর বাইরে বেশির ভাগ এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ছাপানো এসব পোস্টার লাগানোই হয়নি বলে জানা যায়। এ সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় দফতরের একাধিক সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানায়, গত দুই বছরে পাঁচ দফায় কমপক্ষে ২০ লাখ পোস্টার ছাপানো হয়। প্রতিবারই জেলা বিএনপির মাধ্যমে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় তা পাঠানো হয়। সর্বশেষ চার মাস আগে তিন লাখেরও বেশি পোস্টার সারা দেশে বিতরণ করা হয়। কিন্তু সেই পোস্টার আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অর্থাৎ কোথাও তেমন একটা পোস্টার লাগানো হয়নি। একজন সহ-দফতর সম্পাদক এ বিষয়ে জানান, আমরা জেলা পর্যায়ে পোস্টার-লিফলেট পাঠিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করে থাকি। জেলা কর্মকর্তারা বলেছেন, পোস্টার উপজেলা পর্যায়ে তারা বিলি করে দিয়েছেন এবং সেগুলো লাগানো হয়েছে। তার পর কী হয়েছে তা আর তারা বলতে পারবেন না। গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া এমপি প্রার্থীদের। কিন্তু ৩০০ জনের মধ্যে তিনজন প্রার্থীও মাঠে নামেননি সেদিন। তাদের বেশির ভাগ প্রার্থীই এখন ঢাকায় বসবাস করছেন। এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। সেই যে নির্বাচনের আগে বা পরের দিন এলাকা ছেড়ে এসেছেন, গত এক বছরেও তারা এলাকায় যাননি। এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে চাও, তাহলে তুমি (তারেক রহমান) এখন নিজের (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) পদ ছেড়ে দাও। দলের অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে পড়াশোনায় মন দাও। মাস্টার্স বা এমফিল কিংবা পিএইচডি কর।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর