শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই বন্দুকযুদ্ধে খুনের আসামি ও ডাকাত নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

দুই স্থানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামে রিপন হত্যা মামলার আসামি মো. এমদাদ (৩৭) ও সাতক্ষীরায় চিহ্নিত ডাকাত জাকির হোসেন (৪০)। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো বিবরণ-

চট্টগ্রাম : কয়েক দিন আগে খুন হওয়া মো. রিপন হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. এমদাদ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিনি বায়েজিদের শেরশাহ কলোনির ফরিদ আহমেদের ছেলে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার জানান, গতকাল ভোরে বায়েজিদের মাঝিরঘোনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, রিপন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি ছিলেন এমদাদ। এমদাদকে গ্রেফতারের পর মাঝেরঘোনা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এই বন্দুকযুদ্ধের সময় ইমদাদ নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও কার্তুজ এবং ছুরি-চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মহিউদ্দিনের মধ্যে কোন্দল চলছিল। এই কোন্দলের জেরেই রিপন খুন হন। তিনি কাউন্সিলর বাবু ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত এমদাদ মহিউদ্দিনের অনুসারী বলে এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় সূত্র জানায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিনের আশ্রয়ে থেকে এমদাদ ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, পোশাক কারখানা থেকে চাঁদাবাজি, নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ভাসমান দোকান থেকে টাকা আদায়, শেরশাহ এলাকায় ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝিতে বায়েজিদের বাংলাবাজার এলাকায় হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে এমদাদ ও তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটও।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাকির হোসেন নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিসহ মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। গতকাল ভোররাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা দামারপোতা গ্রামের জালাল মোল্লার নেতৃত্বাধীন গণঘেরের বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, জাকির হোসেনকে দুই দিন আগে পুলিশ আটক করেছিল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে ভোররাতে অস্ত্রভান্ডার তল্লাশিতে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। জাকির বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে জাকির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার বিরুদ্ধে আবদুর রশীদ হত্যা, চোরাচালান, ঘের দখল ও ডাকাতির ১৩টি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর