রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কাউন্সিলর বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি

চ্যালেঞ্জে দুই দলই, বিএনপির দায়িত্বে দক্ষিণে মোশাররফ উত্তরে মওদুদ

মাহমুদ আজহার, গোলাম রাব্বানী ও রফিকুল ইসলাম রনি

কাউন্সিলর বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রধান দুই দল। এ নিয়ে অস্বস্তিতেও দুই দলের হাইকমান্ড। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগে শেষ চেষ্টা চালিয়েও যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। অনেককে দলীয় পদ-পদবির অফারও দেওয়া হচ্ছে। দুই দলের নেতারা জানিয়েছেন, সব আসনেই হয়তো বিদ্রোহী প্রার্থী দমন করা সম্ভব হবে না, তবে অনেকাংশে তা সম্ভব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে না পারলে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, দলীয় প্রতীকে কাউন্সিলর ভোট হচ্ছে না। সুতরাং এটা উন্মুক্ত থাকাই শ্রেয়।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক একাধিক ব্যক্তির প্রার্থিতা বৈধ হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে উত্তরের বৈধ প্রার্থী ৩৫৯ জন, দক্ষিণে ৪৩৪ জন। আর দুই সিটি মিলে সংরক্ষিত পদে (নারী) বৈধ ১৮৭ জন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন রিপোর্ট বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে কে মেয়র প্রার্থী, কে কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। হয়তো কেউ কেউ আবেগের বশে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, রাজনীতিতে আবেগের চেয়ে বেশি বাস্তববাদী হতে হবে। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন আশা করি তারা প্রত্যাহার করে দল সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ একই কথা বললেন বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী বাছাইয়ে দায়িত্বে থাকা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘দুই সিটিতে প্রায় সব আসনেই দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র তুলেছেন। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যেই আমরা আশা করছি দলে একক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকেই সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। দেখি, শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।’ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কদম আলী মাদবর। এ ছাড়া এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরও দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল ইসলাম আশিক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. ইসমাইল  হোসেন  বেণু। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জিনাত আলী মাদবর। এই ওয়ার্ডে বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (৫৮, ৫৯, ৬০) আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কদমতলী থানা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. সাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু নারগিস বেগম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আমার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। আশা করছি দলের হাইকমান্ডের অনুরোধে নারগিস বেগম সরে দাঁড়াবেন।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীম। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বাবুল এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুরুন্নবী ভূঁইয়া। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পল্টন থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হককে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাম খান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন। একই অবস্থা বিএনপিতেও। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী ফারুক। তিনি গেন্ডারিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। সেখানে গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী মামুনুর রশীদ অপু ও ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেলও প্রার্থী হয়েছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থন দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদকে। বিএনপির সমর্থন না পেলেও এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন মতিঝিল থানা বিএনপি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। দক্ষিণের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলটির সমর্থন পেয়েছেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। এই ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু নাছের লিটন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দক্ষিণের মতো উত্তরেও অনেক ওয়ার্ডে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে হাজী আবু তৈয়বকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পল্লবী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল মল্লিক। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কমিশনার শামীম পারভেজকে এবার দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ রানাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। সেখানে বিএনপির আরেক নেতা সুমন ভূঁইয়া ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৯, ২০ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি এখনো একক কাউন্সিলর প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ১৯ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মোতালেব রুবেল ও আশরাফুল ইসলাম মনোনয়নপ্রত্যাশী। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা এম এ হান্নান, জাহিদ হোসেন নওয়াব ও রফিকুল ইসলাম স্বপন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মোহন ও লতিফউল্লাহ জাফরু মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু এখানে বিএনপি কাউকেই সমর্থন দেয়নি। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ সিটিতে কাউন্সিলর পদে সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ জন। এ ছাড়া ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ জন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ জন। ১০ জন করে প্রার্থী রয়েছেন ৬৭, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন ৭, ২৮, ৪৬, ৫৯ ওয়ার্ডে। ৬ থেকে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন ৩৬ ওয়ার্ডে। এ ছাড়া দক্ষিণের সংরক্ষিত ২৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া ৬ জন রয়েছেন ১৭, ১৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে, ৪ থেকে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ১০ ওয়ার্ডে। উত্তর সিটিতে কাউন্সিলর পদে সর্বনিম্ন ২ জন করে চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন। আর সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। এসব ওয়ার্ডে দুই দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন।

ড. মোশাররফ ও মওদুদকে বিএনপির দায়িত্ব : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনায় দলের প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররফ  হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএনপি। ড. মোশাররফ হোসেন ঢাকা দক্ষিণ এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঢাকা উত্তরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা দুটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। সমন্বয়ক থাকবেন মির্জা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তাদের সঙ্গে আরও দায়িত্বে থাকবেন আবদুস সালাম, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও কাজী আবুল বাশার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আহ্বায়ক থাকবেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সমন্বয়ক থাকবেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান। এই দুটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হবে ২১ সদস্যের। দুই কমিটির পুরো সদস্যের তালিকা পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। ইসিকে চিঠি দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা চিঠি দেব। নির্বাচন?সুষ্ঠু করার জন্য আমাদের প্রস্তাব ও দাবিগুলো সেই চিঠিতে থাকবে।’ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের কাছে আলাদাভাবে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈঠকে ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা কখনই এই মেশিনে ভোট মেনে নেব না। ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করব।’ এ বিষয়ে আজ বিকালে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। ভোট পর্যন্ত প্রকল্প, অনুদান ও ত্রাণ বিতরণে বিধিনিষেধ : নির্বাচন-পূর্ব সময়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি অনুযায়ী নতুন করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় না দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট পর্যন্ত ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড দেওয়া এবং ত্রাণ বিতরণ স্থগিত রাখতেও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসব চিঠি আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচনে বাধা : স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা’ এসব প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় করতে পারবেন না। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী এই সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতিপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করতে পারবেন না। চাঁদা-অনুদান নয় : তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো ধরনের চাঁদা বা অনুদান দিতে অঙ্গীকার করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

সর্বশেষ খবর