রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আবার বাড়ল পিয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির অজুহাতে পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতি কেজি মুড়িকাটা পিয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহেও পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০০ টাকার কাছাকাছি। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এমনিতেই পণ্যটির সরবরাহ কমে গেছে। নতুন মুড়িকাটা পিয়াজ ওঠার পাশাপাশি আমদানি বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা কমেছিল। তবে গত দুই দিন বৃষ্টির কারণে পিয়াজের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উৎপাদকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী মো. মাজেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দেশি জাতের মুড়িকাটা পিয়াজ তারা পাইকারি ১৪০ টাকা কেজি দরে কিনছেন। বৃষ্টির কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া মুড়িকাটা পিয়াজের উৎপাদনও শেষ হয়ে আসছে। এর ফলে কৃষকরাও দাম বেশি চাইছেন। আগামী মাসে নতুন হালি পিয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল মিসর ও তুরস্কের পিয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে এবং পাকিস্তানি পিয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে। পণ্যটির সংকটের কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, তারা খুচরা দোকান, ভ্যান ও পাইকারি বাজারে পিয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখছেন। মিরপুরের রূপনগর এলাকার ভোক্তা মো. আলাউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দুই দিন আগে যে পিয়াজ ১০০ টাকায় কিনেছি, আজ তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সকালে এক দাম চাইলে, বিকালে চাইছে আরেক দাম। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৫০/৬০ টাকা দাম বেড়ে যাচ্ছে প্রতি কেজিতে। পিয়াজের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পিয়াজের উৎপাদন মৌসুম চলমান থাকার পরও তারা পিয়াজ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রণোদনা দিচ্ছেন। বড় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে ২ লাখ মেট্রিক টন পিয়াজ আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারপরও হঠাৎ পণ্যটির দাম বাড়ার পেছনে কী রহস্য তা খতিয়ে দেখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করবেন তারা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় পিয়াজের দাম। এক পর্যায়ে ২৫০ টাকায় উন্নীত হয় কেজিপ্রতি পণ্যটির মূল্য। এরপর সরকার বিমানে পিয়াজ আমদানি শুরু করে। জাহাজেও আনা হয় বিপুল পরিমাণ। ডিসেম্বর মাসে আগাম জাতের মুড়িকাটা পিয়াজ বাজারে আসে, ফলে দাম কমতে থাকে পণ্যটির।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর