আদালতের পরোয়ানা ছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোনো প্রার্থীকে গ্রেফতার না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নির্দেশনার কথা জানান কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। বিএনপির পক্ষ থেকে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রার্থী-সমর্থকদের গ্রেফতারের অভিযোগ জানানো হয়। তখন তাদের অহেতুক হয়রানি করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন সিইসি। ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন সোমবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে অনুযায়ী গতকাল আমি ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, (তফসিলের) আগের কোনো পরোয়ানা না থাকলে প্রার্থী বা সমর্থকদের গ্রেফতার করা যাবে না। তবে (কেউ যদি) নতুন কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স করে বা কোর্টের আদেশ থাকে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বা জনগণের জান বা সম্পদ রক্ষার জন্য তারা ব্যবস্থা নেবেন।’ ২২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকে এ বিষয়ে আরও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। ভোট পেছাতে ইসিকে স্মারকলিপি : সরস্বতী পূজার জন্য ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি ভোটের তারিখ পেছাতে কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। সংগঠন দুটির প্রতিনিধি দল এ-সংক্রান্ত স্মারকলিপি একজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের কাছে পৌঁছে দেন। এ বিষয়ে আদালতে রিট আবেদনও হয়েছে।  জরুরি সেবায় বিল পরিশোধ করা যাবে : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচনী এলাকায় দৈনন্দিন জরুরি নাগরিক সেবায় বিল পরিশোধ করার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদনের চিঠি দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।