বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সাবেক চালকের নেতৃত্বে হত্যাচেষ্টা সারওয়ার আলীকে

দুজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গাড়িচালক নাজমুল আলমের নেতৃত্বেই ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার সঙ্গে ছিল অজ্ঞাত আরও একজন। সোমবার রাতে এ ঘটনায় গ্রেফতার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবুল হাসান ও বর্তমান গাড়িচালক হাফিজুলকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নির্দিষ্ট কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয়েই হয়তো ডা. সারওয়ার আলীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল নাজমুল। তাকে গ্রেফতার করলেই সব রহস্য উন্মোচন হবে। গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর  রোডের ৪ নম্বর ওই বাড়ির চারদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার  মো. কামরুজ্জামান সরদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টির তদন্ত করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই মূল পরিকল্পনাকারীসহ ঘাতকদের গ্রেফতার করতে পারব। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ৯ মাস আগ পর্যন্ত পলাতক নাজমুল ডা. সারওয়ার আলীর পরিবারের গাড়িচালক ছিলেন। ওই সময় গাড়ি চালানোর সময় ভুল করায় ডা. সারওয়ার আলীর স্ত্রী সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস তাকে ধমক দিয়েছিলেন। ওইদিনই নাজমুল হুমকি দিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে হাফিজুলকে গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দেন ডা. সারওয়ার। তবে নাজমুল মাঝে মধ্যেই ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবুল হাসানের সঙ্গে এসে গল্প করত। ঘটনার সময়ের কিছু সময় আগে নাজমুল ও একজন অজ্ঞাত লোক নিচতলায় আবুল হাসানের সঙ্গে টিভি দেখছিল। পরবর্তীতে নিচতলায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে একটি স্কুল ব্যাগের ভিতর থেকে সাতটি নতুন চাপাতি, লম্বা দড়ি, ক্যামেরা স্ট্যান্ড ও স্কচটেপ উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী ডা. সারওয়ার আলী সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখনো পর্যন্ত তার উপর হামলার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে প্রতিটি বিষয় এমনকি অনুমান সবকিছু তিনি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের বলেছেন। উত্তরা-পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সব আয়োজন দেখে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্যই দুর্বৃত্তরা ওই বাসায় ঢুকেছিল। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

সর্বশেষ খবর