শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রথম দিনেই নৌকা ধানের শীষের জমজমাট প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম দিনেই নৌকা ধানের শীষের জমজমাট প্রচারণা

প্রতীক বরাদ্দের পর প্রথম দিনেই গতকাল রাজধানীতে নৌকা-ধানের শীষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জমজমাট প্রচার শুরু করেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ভোটের প্রচারে নামেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। ঢাকা দক্ষিণে নৌকা প্রতীক পেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস প্রথম পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রথম দিন নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা রাজধানীতে প্রথম দিন ভোটের মাঠে সরব ছিলেন।

প্রচারে এমপিদের অংশগ্রহণের সুযোগ চান আতিক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল উত্তরায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অনুরোধ জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি তার উত্তরও দিয়েছি। আপনারা জানেন সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে নামার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমার কথা হচ্ছে, আজকে যাঁরা সংসদ সদস্য আছেন, তাঁরা তো দলেরই সদস্য। উনাদেরও তো ইচ্ছা করে আমার সঙ্গে ক্যাম্পিং করার।’

প্রতিপক্ষ বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারে সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মওদুদ আহমদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, অন্ততপক্ষে যাঁরা এমপি আছেন, তাঁরা যেন আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করতে পারেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য এই বাধাটুকু যেন না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘মেয়র নির্বাচিত হলে মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করব। এগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে।’ একই সঙ্গে নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ শহর গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতিপক্ষকে কীভাবে দেখছেন? এ প্রশ্নের জবাবে আতিকুল বলেন, ‘আমাদের চাচা-ভাতিজার সম্পর্ক। প্রতিপক্ষের বাবা একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। যে কোনো প্রতিপক্ষকেই আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে মনে করি। কাউকেই ছোট করে দেখব না।’ নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর গতকাল আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন আতিকুল ইসলাম। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে গণসংযোগ শুরু করেন আতিক। এলাকার মানুষের হাতে নৌকার লিফলেট তুলে দেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় মণিপুর বয়েজ স্কুলে সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, আলেম-ওলামা, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

হাজারো নেতা-কর্মীর স্লোগানে প্রচারে তাবিথ : দলের নেতা-কর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানের মধ্য দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে নামলেন মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। গতকাল জুমার নামাজের পর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদের সামনে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। নামাজের পর মসজিদের সামনে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ‘খালেদা জিয়া, ধানের শীষ, ধানের শীষ’ স্লোগান শুরু করেন। এ সময় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কিতে তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের সামলাতে হিমশিম খান। প্রায় আধা ঘণ্টা মিছিল ও স্লোগানের পর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে তাবিথ আউয়ালসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এর আগে তাবিথ আউয়াল ও তাঁর বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ৭ নম্বর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তাঁরা মুসল্লিদের কাছে দোয়া চান। এ সময় তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচন কমিশন আজকের এই উত্তাল জনতার আওয়াজ শুনবে এবং সে অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবশ্যই গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যাত্রা শুরু করলাম। সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষ এ নির্বাচনে জবাব দেবে।’

এ সময় উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অতীতের মতো এই নির্বাচনেও যদি কোনো কারচুপি ও ষড়যন্ত্র করা হয়, এখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে।’

প্রথম দিনের জনসংযোগে দলের নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তর শাখার সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক জিলানী মিল্টন, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, উত্তরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শরীফ উদ্দীন জুয়েল, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। গত রাত ৮টা পর্যন্ত উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টর হয়ে ১০ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা, দিয়াবাড়ী, ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়সহ ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালান তাবিথ আউয়াল।

সেবক হতে চান ফজলে নূর তাপস : মানুষের দোরগোড়ায় সেবক হিসেবে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার বার্তা নিয়ে রাজধানীর ডেমরা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘৩০ জানুয়ারি বিজয়কে সুনিশ্চিত করে প্রাণপ্রিয় ঢাকাকে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা গড়ব।’ গতকাল প্রচারের প্রথম দিনে বিভিন্ন পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের ই. হক স্কুলের সামনে থেকে প্রথম পথসভায় বক্তব্য রেখে ওই এলাকায় গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন তাপস। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল, এলাকার সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে আগে থেকেই প্রচারণার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তিনি এলাকায় পৌঁছলে মুহুর্মুহু স্লোগান আর করতালিতে তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পথসভার অস্থায়ী মঞ্চে উঠে শেখ ফজলে নূর তাপস গণসংযোগ উদ্বোধন করেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী আতিকুর রহমান, ৬৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাসু এবং সংরক্ষিত (মহিলা) আসনের সেলিনা খানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের জন্য ভোট ও দোয়া চান শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর হেঁটে হেঁটে ভোটারদের কাছে যান ঢাকা-১০ আসনের সদ্যসাবেক সংসদ সদস্য। আসন্ন সিটি নির্বাচনে ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান তিনি। প্রথমে তিনি ৭০ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে প্রচারণা শুরু করেন। ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে আয়োজিত পথসভায় ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ঢাকার প্রত্যয়ে কাজ করতে চাই। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে প্ল্যান নিয়ে কাজ শুরু করব।’ উন্নত ঢাকা গড়তে ৩০ বছরের পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও জানান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘এখানে পরিবহনসহ নানা সমস্যা আছে। উন্নত ঢাকা গড়তে আমাদের পাঁচটি লক্ষ্য রয়েছে; যা সামনে রেখে আমরা কাজ করব।’

বাবার কবর জিয়ারত শেষে প্রচারে ইশরাক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রথম দিন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন বিএনপির মনোনীত ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বুঝিয়ে দেন। এরপর ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক জুরাইনে তাঁর বাবা অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের টানা দুবারের মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সদ্যপ্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করেন। দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতাদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে ভোটের প্রচার শুরু করেন ইশরাক।

জুমার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সাংবাদিকদের সামনে ইশরাক বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনের নেমেছি। ধানের শীষে ভোট দেবেন। ইনশা আল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে ছাড়বই।’ এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ ইশরাকের লিফলেট বিতরণ করেন। মসজিদ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিছিল করে ইশরাককে নিয়ে বের হন এবং পথচারীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন।

উন্নত দেশের শহরের আলোকে ঢাকাকে গড়তে চাই : হাজী মিলন : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী হাজী মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন, নির্বাচিত হলে ঢাকাকে উন্নত দেশের শহরের আলোকে গড়ে তুলতে চান। বিশ্বের শতাধিক শহর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। গতকাল দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় লাঙ্গলের পক্ষে গণসংযোগকালে তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে সেবা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় দৃষ্টি দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্মার্ট নগরী গড়তে চান আবদুর রহমান : ডিএসসিসি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলহাজ আবদুর রহমান। গতকাল বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায়ের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আবদুর রহমান। এ সময় বক্তব্যে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগ লাঘব করে স্মার্ট ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে ঢাকাবাসীর পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আবদুর রহমান বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট, পশ্চিম গেট, জিপিও, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, দৈনিক বাংলা, বিজয়নগর এলাকায় হাতপাখার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ চালান।

জনবান্ধব সিটি গড়তে চান মাওলানা মাসউদ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের এখনো কোনো পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না। শঙ্কা নিয়েই আমরা মাঠে আছি। কারণ মাঠ ছেড়ে দিলে আবর্জনায় ভরে যাবে। আমরা তা চাই না। হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা মাঠে থাকতে চাই।’ দূষণ, দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত নগরায়ণকে ঢাকা সিটির প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে তিনি জনবান্ধব ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার করেন। প্রচারণার প্রথম দিনে শেরেবাংলানগর, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় তিনি নিজের প্রতীক হাতপাখার পক্ষে ভোট চান।

সর্বশেষ খবর