শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
এই অপরাধের শেষ কোথায়

ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রী ধর্ষণ রংপুরে

রংপুর প্রতিনিধি

মিঠাপুকুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামে কতিপয় যুবকের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ কোনো মামলা রেকর্ড করেনি, এমনকি ধর্ষককেও গ্রেফতার করেনি। উল্টো ধর্ষিতার স্বজনদের আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর স্বজনরা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার হেনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তিলকপুর গ্রামের ওই ছাত্রী গত বুধবার রাতে বাসায় পড়াশোনা করছিল। অন্য কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এ সময় একই গ্রামের ফুলু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন ও তার সহযোগীরা ঘরে ঢুকে পড়ে এবং ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। এ অবস্থায় ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে গুরুতর অবস্থায় রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শ্যামলী জানান, ধর্ষিতার প্রচ- রক্তক্ষরণ হয়েছে। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ ঘটনার ব্যাপারে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। উপরন্তু তারা ধর্ষকদের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বুধবার রাতে মিঠাপুকুর থানার ওসি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে পুরো বিষয় জানানো হলে তিনি ফিরতি মেসেজ দিয়ে জানান, তিনি ওসির সঙ্গে কথা বলছেন।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবারও ওসির মোবাইলে ফোন করা হলে তার ফোনটির কল ডাইভারট করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এভাবে বেশ কয়েকবার ফোন করার পর গভীর রাতে ফোন ধরে তিনি জানান, ঘটনাটি তিনিও শুনেছেন। রাতেই একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এরপর গতকাল দুপুরে আবারও ওসিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ তো অভিযোগ করতে এলো না। কেন আসছে না বুঝতে পারছি না। তারপরও বিষয়টি দেখছি।’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা পুলিশকে ম্যানেজ করেছে। ধর্ষিতার স্বজনরা জানান, পুলিশ তাদের মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর