শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আদালতের আদেশ মেনে নেওয়া উচিত : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হাই কোর্ট তো বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বাইরে কিছু নিশ্চয় ভাববে না। হাই কোর্টে যারা রায় দিয়েছেন, তারা তো ভেবেচিন্তেই রায় দিয়েছেন। যেখানে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে, কোর্টের আদেশ যেটা সেটা তো মেনে চলা উচিত। আমি আন্দোলনকারীদের আহ্বান করব তারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত চেকআপ শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ভোটের তারিখ পেছানোর আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের আছে, তাদের অনেকেই যেতে পারে। সেটা তো অসম্ভব কিছু না। তফসিল ঘোষণার সময় তখন পূজার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, সেটা নিশ্চয় তাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল। আর তাদের বিবেচনার ভিতর কোনো ফাঁক-ফোকর আছে কিনা সেটা দেখার বিষয় ছিল আদালতের। আদালত তো এখানে একটা নির্দেশ অলরেডি দিয়েছে। রিট খারিজ করার মানেই হলো নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ওটাই ঠিক আছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যালেন্ডারে ভুল ছিল এটা তো আমি এখন বলতে পারি না। ভুল থাকলে আদালতের তো দেখা উচিত, যে এখানে ভুল আছে। তিনি বলেন, ধর্মীয়ভাবে যারা সংক্ষুব্ধ হয়েছে, আমি তাদের অনুরোধ করব, আদালতের আদেশ মেনে অনেক প্রত্যাশিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারাও অংশগ্রহণ করবেন। তারাও ভোট উৎসবে যোগ দেবেন, এটাই আমি আশা করি।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনের আরও কঠোর হওয়া উচিত। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে বলে মনে করি না। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের তোলা হামলা-মামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, হামলা-মামলার অভিযোগ তো আমাদের প্রার্থীরাও কোথাও কোথাও করছে। এখন তো নির্বাচন কমিশনই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত।

কাউন্সিলর পদে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত তো আসবেই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় যেহেতু শেষ হয়ে গেছে, সেখানে আর কী করার আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সংবাদ সম্মেলন করে বললাম যে আমি আর নির্বাচনে থাকছি না। তাহলে তো প্রত্যাহার হয়ে গেল। ইলেক্টেবল ও উইনেবল কি না- আমাদের দেখার বিষয় আছে। সেটা দেখেও আমরা অনেককে মনোনয়ন দিয়েছি।

দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাকের বিরুদ্ধে একটি মামলার বিচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন তো তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এখানে আগে-পরের বিষয় নয়। বিষয়টি হয়তো ম্যাচিউর হয়ে গেছে, সেই কারণে এই সময়ে...। এটা দুদকের বিষয়, দুদক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করেন।

জাতীয় সংসদে কয়েকজন সংসদ সদস্য ধর্ষণকারীদের ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার যে দাবি তুলেছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত মতামত। এটা সরকার ও আমাদের দলের বক্তব্য নয়। তিনি বলেন, ‘এনকাউন্টার বা ক্রসফায়ার’ যেহেতু সংবিধানসম্মত নয়, সেহেতু সরকার বা দল তাতে সমর্থন দিতে পারে না। ‘এনকাউন্টার বা ক্রসফায়ারকে’ তো আমরা সাপোর্ট করতে পারি না। কারণ এটা সংবিধানের আওতার বাইরে। এটা সংবিধান সম্মত নয়। ব্যক্তিগতভাবে কারও অভিমত থাকতে পারে। দ্যাট ইজ ডিফরেন্ট।

সর্বশেষ খবর