সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সরকারি সিদ্ধান্তকে অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, সরস্বতী পূজার দিনে এটা করা সরকারের একটা অন্যায় কাজ হয়েছে। সেদিন (৩০ জানুয়ারি) সরস্বতী পূজা, এটা অতীতে কোনো দিন হয়নি। ঈদের দিন যদি নির্বাচন হয়, সেটা যেমন অন্যায় ও ব্যর্থতা; পূজার দিনও যদি এটা হয়- সেটাও সরকারের একদম গাফিলতি ও ব্যর্থতা। গতকাল বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে নিজের চেম্বারে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এ বৈঠকে জেএসডির আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সা ক ম আনিসুর রহমান খান, সানোয়ার হোসেন তালুকদার, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, শহীদুল্লাহ কায়সার, ড. জাহিদ-উর রহমান, মমিনুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ পরিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী কর্মসূচি পালন করছেন, এর প্রতি আপনাদের সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, নীতিগতভাবে তো আমরা তার পক্ষে। তার মতে, দেশের অর্থনীতি এখন ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছে। ড. কামাল বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী জনসংযোগে বাধা ও হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ এর মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রে তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই মালিকানা নিশ্চিত হবে না। তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুটি করে মোট ৪টি পথসভা আমরা করব। বৈঠকে শেয়ারবাজারকে নানা কারসাজির মাধ্যমে ধ্বংস করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করে অর্থ লুণ্ঠনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
