রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নেতৃত্বের প্রতি আস্থা যে কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেতৃত্বের প্রতি আস্থা যে কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থাকতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে সরকার গৃহীত ফোর্সেস গোল, ২০৩০-এর কথা উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, এ কর্মপরিকল্পনা সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। যে কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা। গতকাল রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন হবে। ইউনেস্কোও বাংলাদেশের সঙ্গে মুজিববর্ষ পালন করবে। এটি অত্যন্ত গৌরবের। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১-এর আলোকে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার ও গর্বের প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুরুতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ নেতৃত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জাতীয় উন্নয়ন ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ‘জ্ঞানে নিরাপত্তা’ এ মূলমন্ত্র সামনে রেখে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ সব সময় তার লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয়। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতি অকৃত্রিম সহায়তা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অব.), মন্ত্রী, এমপি, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর