বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, স্বার্বভৌম ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বর্তমান সরকার ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্য সব ধর্মের চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে আঘাত করে এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার সবসময় সতর্ক রয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রশ্নকর্তা ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে এর প্রতিকার দাবি করেন। জবাবে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

কোনো কিছুর খবর রাখি না, ঠিক নয় : বিএনপির হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে প্রটোকল নিয়ে চলতে হয় এটা ঠিক, কিন্তু দেশের কোনো কিছুর খবর রাখি না এটা ঠিক নয়। দেশের সবদিকেই নজর রেখে কাজ করছি বলেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। আর বেশি কাজ করলেই আবার সমালোচনা করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী একাই সব কাজ করবেন কেন? কিন্তু দেশের জনগণ আমাকে সুযোগ দিয়েছে বলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে কাজ করে যাচ্ছি।

মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারতেন না : জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে মুখ ফুটে বলতে পারতেন না- আমরা মুক্তিযোদ্ধা। সেই অবস্থা এখন আর নেই। মুক্তিযোদ্ধারা গর্বভরে এখন বলতে পারেন তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের যে মর্যাদা দিয়েছি, সেখানে আর পদক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বরং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুজিববর্ষে আমার আহ্বান, আপনারা নিজ নিজ এলাকায় নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান, যাতে তারা দৃঢ়চেতনা নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ : সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন, অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে আজকের বাংলাদেশ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১০ বছরে সর্বক্ষেত্রে যে সফলতা অর্জিত হয়েছে তার পথ ধরে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানোর অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

অন্যের মুখাপেক্ষী থাকা চলবে না : সরকারি দলের আহসানুল ইসলাম টিপুর (টাঙ্গাইল-৬) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবক ভাই-বোনদের অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না, শুধু একটি চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ধরনা দিলে হবে না। এখন যুবকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কী শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে নাকি নিজেরা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে অন্যকেও চাকরি দেবে? ইচ্ছা করে কেউ বেকার থাকতে চাইলে সেখানে করার কিছু নেই। তবে আমরা এত কর্মসূচি নিয়েছি, সেখানে কারও বেকার থাকার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকে হাতেকলমে যেন ছাত্ররা কোনো একটা বিষয়ে প্রশিক্ষিত হতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যে ব্যবস্থা করে দিয়েছি, ইচ্ছা করলেই বেকার যুবসমাজ কিছু না কিছু নিজেরাই করতে পারবে, নিজেরা কাজ করে অন্যকে চাকরি দিতে পারবে।

বেশি শর্ত না দিয়ে সহযোগিতা করুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে এ ব্যাপারে বেশি শর্তারোপ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের আরও উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও আমাদের খুব বেশি শর্ত না দিয়ে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন। যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি তা যেন আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)-২০২০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। খবর বাসস।  শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো শুরু করেছি সেগুলোকে সাসটেইনেবল করতে চাই। আর সেটা করতে গেলে আর্থিক সঙ্গতি দরকার। আমি মনে করি, আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী আছেন তাঁরাও এগিয়ে আসবেন। সহযোগিতা করবেন।’ তিনি বলেন, ‘একটা বিষয়ে কেউ যখন সাকসেসফুল হয় সেখানে সাহায্য করতে তো কারও দ্বিধা থাকে না বরং আগ্রহ আরও বেশি হয়। কাজেই সেটাই হবে বলে আমরা মনে করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা হলো দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে গেছেন এবং তাঁর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। আমরা সেই কর্মপরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ সেফার, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা এবং এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন, ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের কো-চেয়ার মিয়া সেপোও এবং ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বক্তৃতা করেন। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), জাইকা, ইউএসএইড, ইউকে এইড, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া কখনো কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। আর সেটা আজকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একেবারে প্রমাণিত সত্য।’ তিনি বলেন, একটি দেশকে গড়ে তোলার জন্য সেখানে যেমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন থাকে, কমিটমেন্ট থাকা দরকার তেমনি একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের যদি একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকে যে, দেশটাকে কীভাবে তারা গড়তে চায় তাহলেই সে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে। আর আমরা সে কাজটাই করেছিলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্য স্থির করেছি তাতে একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, নিরক্ষর থাকবে না, প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।’

‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয় কিন্তু সবচেয়ে নির্মম শিকার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ অবস্থার জন্য দায়ী তাদেরই সব থেকে বেশি অবদান রাখা দরকার। আমি বলব-‘আমরা যখন জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করি তখন অনেক প্রতিশ্রুতি (উন্নত দেশের) পাই। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর সেভাবে কেউ পূরণ করে না।’ তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার করার জন্য আমরা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করে সেটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি, উন্নত দেশগুলোর এবং আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের আরও এগিয়ে আসা দরকার। আরও সহযোগিতা দরকার। যেসব দেশ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাদের সবারই এই সহযোগিতাটা দরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দীর্ঘমেয়াদি এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়ন শুরু করে এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছে। তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সরকার সে সময় দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে ‘রূপকল্প-২০২১’ নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন শুরু করে। এটি একদিকে যেমন আমাদের দলের অর্থনৈতিক নীতিমালা তেমনি সরকারের উদ্যোগে আসলে দেশের উন্নয়ন কীভাবে করব সেই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সময় থেকেই ঢাকা উন্নয়ন সভা (বিডিএফ) শুরু হলো এবং উন্নয়ন সহযোগীরাও সহযোগিতা শুরু করল।’ কিন্তু বিগত ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে আগের মেয়াদে বিরোধী দলে থাকলেও তাঁকেই বিনা অপরাধে প্রথম গ্রেফতার করে ‘সলিটারি কনফাইনমেন্টে’ রাখে। যে সময় তাঁর দল সরকারে এলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে, সে পরিকল্পনা প্রণয়নের সুযোগটি তিনি গ্রহণ করেন বলেও উল্লেখ করেন। ‘আমরা কত সালে কী কী করব সেটার একটি খসড়া আমি কারাগারে বসেই প্রণয়ন করি। যেটা আমি পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীপথ, রেলপথ, সড়কপথ এবং আকাশপথ- সবক্ষেত্রেই যেন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ত্বরান্বিত হয় সেজন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি। সেই সঙ্গে আরও নতুন নতুন প্রকল্পও আমরা নিতে চাই।’ জনগণ যেন রাজধানীমুখী না হয়ে নিজ গ্রামে বসবাস করতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টিও তাঁর সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামেই সাধারণ জনগণ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা এবং সুযোগ লাভ করতে পারে সেজন্য আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করছি।’

তিনি এ সময় সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে করেন। ‘ঝরে পড়া’ বন্ধে তাঁর সরকারের স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালুর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গম এলাকা বা চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয়ে কাছে থেকেই লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য আমরা আবাসিক স্কুল করে দিচ্ছি।’ সরকার কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে যে কোনো একটা বিষয়ে বাচ্চাদের হাতকলমে শিক্ষা দেওয়া হবে এবং ৪৯২টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে কারিগরি স্কুলও করে দিচ্ছি।’

শেখ হাসিনা তাঁর এ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, শিক্ষায় সবাই উচ্চশিক্ষায় যাবে না, ‘কিন্তু শিক্ষা শেষে যেন কর্মসংস্থান পেতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। অর্থাৎ যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের জনসংখ্যাকে তৈরি করতে হবে।’

সারা দেশে ৫ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এবং দেশের সব উপজেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার প্রকল্প তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে গ্রামে নিজ ঘরে বসেই যেন আয়-রোজগার করে জীবিকানির্বাহ করা যায়, তার নিশ্চয়তা বিধান করা।’ ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ কর্মসূচির মাধ্যমে এখন অনেকেই ঘরে বসে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর