নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সুবিধা হলো কোনো কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েনি। সুতরাং ভোট কেন্দ্রে এবার শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত। গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিটি ভোট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, কোথাও বিরোধী দলের এজেন্ট চোখে পড়েনি। মাহবুব তালুকদার বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে এ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে, এবার কোনো কেন্দ্রে শতভাগ ভোট যেমন পড়েনি, তেমন ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না। রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত। সিটি নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ ভাগের নিচে ভোট পড়েছে। তাতে কি ফলাফলে কিছু আসে যায়? তিনি বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নির্বাচনী পরিবেশের কথা আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলেছি নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তারা আমার চেয়ে বেশি জানেন। কারণ তারা নিজের চোখে সব দেখেছেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি মগবাজার ইস্পাহানি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রে সাংবাদিকরা আমাকে জানান, সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন। তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এ ছাড়া আনারস প্রতীকের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। তিনি বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি। এ ১২টি কেন্দ্রে সরকারি দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি। সকাল ৮টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রগুলোয় প্রায় ১০ ভাগ ভোট পড়েছে। মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে আমি মর্মাহত। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না। নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি। ভোটের মাঠে এক পক্ষ ছাড়া অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। ভোটের মাঠে অন্য পক্ষগুলোর অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে আমি অজ্ঞাত।