সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ইসির প্রতি অনাস্থা ইভিএম নিয়ে সংশয়

-ড. বদিউল আলম মজুমদার

ইসির প্রতি অনাস্থা ইভিএম নিয়ে সংশয়

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় বলেছেন, শুরু থেকেই ঢাকাবাসীর বড় অংশেরই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা ছিল। ইভিএম নিয়েও ছিল সন্দেহ-সংশয়। নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তো ছিলই। এসব কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে সন্দেহ থাকাটাই স্বাভাবিক। এর অনেক দুর্বল দিক রয়েছে। আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আগেই বলেছিলেন, ইভিএমের অনেক ত্রুটি আছে। কিন্তু তিনি কী ত্রুটি পেয়েছেন বা তা দূর করার জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকরা ছিলেন অজ্ঞাত। এগুলো নিয়েই মূলত নাগরিকদের শঙ্কা ছিল। তাছাড়া ইভিএম যারা পরিচালনা করছে, তাদেরও আস্থার সংকট ছিল। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। সেখানে ভোট জালিয়াতি হয়েছে। ইভিএমের প্রশিক্ষণের টাকা নিয়ে নয়ছয় হয়েছে। তাই এই নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা না থাকাটাই স্বাভাবিক। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনে যা হয়েছে, তা নিয়েও শঙ্কা ছিল অনেকেরই। আবার এমনটাও হয়েছে জাতীয় নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রার্থীর শতভাগ ভোট বা তার চেয়েও বেশি পড়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীর শূন্যভাগ ভোটও পড়েছে। এ জন্য মানুষের মনে এ ভয় সৃষ্টি হয়েছে, তারা ভোট দিলেও যাকে দেওয়া হবে তিনি পাবেন কি না। আবার নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজের ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। সুজন সম্পাদক আরও বলেন, আরেকটা কারণ ছিল, ভোটারের নিরাপত্তাহীনতা। ভোটকে ঘিরে যেসব মহড়া আগেই দেখা গেছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতা হওয়ার কথাই। যাই হোক ভোটার পরিস্থিতি কম হওয়া অমঙ্গলকর। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। কারণ, নির্বাচনই একমাত্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা বদলের পথ। এটা বিলুপ্ত হয়ে গেলে আমরা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাব। যার মাশুল আমাদের সবাইকে দিতে হবে। ভোটের ওপর হাল ছেড়ে দিলে তরুণ প্রজন্ম বিপথগামী হয়ে যেতে পারে। যা হবে খুবই ভয়ঙ্কর পরিণতি।

সর্বশেষ খবর