সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

তরুণ প্রজন্মকে ভোট আকৃষ্ট করেনি

মুনিরা খান

তরুণ প্রজন্মকে ভোট আকৃষ্ট করেনি

ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেছেন, দুই সিটি ভোটে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচন কমিশনের ওপর তরুণ প্রজন্মের আস্থা নেই। এ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে অনেক কিছুই খোঁজখবর রাখছেন। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর গতানুগতিক ধারায় প্রচার-প্রচারণাকেও পছন্দ করেনি। প্রচারে কোনো নতুনত্ব ছিল না। এ কারণে তরুণ প্রজন্ম মনে করেছে, ভোট দেওয়া না দেওয়া সমান। তার ভোট দিয়ে কী হবে-এমন প্রশ্নও করে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থা ফেমা প্রধান। তিনি বলেন, ভোটার অনুপস্থিতির আরেকটা কারণ ছিল, বয়স্কদের না যাওয়া। তাদের যাতায়াতের কোনো যানবাহন ছিল না। নির্বাচন কমিশন গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে বড় ভুল করেছে। সিনিয়র সিটিজেনদের অনেকেই গাড়ি ছাড়া বেরোতে পারেন না। তাই তারা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। অনেকে রিকশায় উঠতে পারেন না। এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে নির্বাচন কমিশনের। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশই ভোট কেন্দ্রে যাননি। তিনি বলেন, এবার ভোটে ৫০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ছিল। এ নিয়ে অনেকেরই ভয় ছিল, এত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন? তাহলে কোনো সমস্যা হবে কি না-এমন সংশয়ও অনেককেই কাজ করেছে। আমরা এখন যান্ত্রিক হয়ে গেছি। এবার ভোটের প্রচার নিয়েও সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। গানের ক্যাসেট বিকট সাউন্ডে বাজানো কেউ ভালোভাবে নেয়নি। তাছাড়া যেভাবে ঢাকা শহর পোস্টার লেমোনেট করে ছেয়ে ফেলা হয়েছে তাও ভালো চোখে দেখেনি কেউ কেউ। এতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা বাড়তে পারে। সব কিছু মিলিয়ে আমি বলব, এখন ভাবনার সময় এসেছে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে ভাবতে হবে, কেন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রের প্রতি অনাগ্রহী।

সর্বশেষ খবর