সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত

-আবু আলম মো. শহীদ খান

গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত

সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেছেন, সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা না থাকায়, বিগত নির্বাচনগুলোতে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ না পাওয়ায় ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহী হচ্ছেন না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ ‘গণতন্ত্র’ ও ‘ভোটের মালিক’। তারা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহী না হন, জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে অথবা তার যে কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে অন্ধকার শক্তির মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। যা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক মানবিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। তাই আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ না থাকলে স্বাধীনতার চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সদ্য দুটি সিটি ভোটে যে ভোটার উপস্থিতি আমরা দেখলাম, তাতে প্রতীয়মান হয়, দিন দিন ভোটার সংখ্যা আরও কমে যেতে শুরু করলে একসময় দেখা যাবে দশ শতাংশ কিংবা ১৫ শতাংশ ভোটের প্রতিনিধিরাই দেশের শাসনক্ষমতা পাচ্ছেন। অর্থাৎ বড় একটি গোষ্ঠীর আস্থা থাকছে না শাসকদের ওপর। এর ফলে দেশ কোন দিকে যাবে, কী ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা বলা মুশকিল। উত্তরণের পথ কী জানতে চাইলে সাবেক এই আমলা বলেন, উত্তরণে আমাদের সবার দায়িত্ব হলো গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নির্বাচনে জনগণের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করা। সরকার, নির্বাচন কমিশন, সব রাজনৈতকি দল, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবী সব মানুষের দায়িত্ব হবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে বের করা। সেটা করতে হবে খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে। তা না হলে আমরা কোন দিকে যাব, দেশ কোন দিকে যাবে এটা বলা খুব মুশকিল।

সর্বশেষ খবর