মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ভারতীয় হাইকমিশনার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ভারতীয় হাইকমিশনার

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে এসে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজেকে সম্মানিতবোধ করছি। সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কথাগুলো বললেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী প্রশান্ত কুমার দাশ, হাইকমিশনারের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) নবনীতা চক্রবর্তী, প্রটোকল অফিসার নিরাজ কুমার বিলখা, সহকারী কে এম এস রেড্ডি প্রমুখ। এ ছাড়া ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিৎ কুমার গামা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান এবং গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কুমার বিশ্বাস, কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হুদা বাবু, শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ সমাধিসৌধে আসেন ৯টা ২০ মিনিটে। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাড়ে ৯টায়। এরপর বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতের সময় হাইকশিনার সমাধিস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপির বাসভবনে গেলে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এখানে এসে শ্রদ্ধা জানালাম। এতে খুব অনার্ড ফিল করছি। যখন খুব ছোট ছিলাম রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছি। ভাষণে তিনি কী বলতেন, ওই বয়সে তা হয়তো পুরোপুরি বুঝতাম না। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ তার ভাষণে যে ইমোশনাল হয়ে পড়ত তা দেখেছি। ব্যাপারটা এখনো আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে। তিনি বলেন, এশীয় নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু খুবই গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। যে সাহসিকতা ও দর্শন নিয়ে তিনি রাষ্ট্রচালনা শুরু করেছিলেন তা শেষ করে যেতে পারেননি। তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সোনার বাংলা গড়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে ভারত আগেও ছিল, সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

হাইকমিশনার বলেন, আজ সবাই দেখছে বাংলাদেশে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক উন্নতি, নানা রকম উন্নিত হচ্ছে চারদিকে। ঢাকা থেকে যে টুুঙ্গিপাড়া এলাম, রাস্তা এত চমৎকার! তিনি আশা করেন, এই দেশ, দিন দিন উন্নতি হতেই থাকবে। তিনি বলেন, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে ভারত প্রস্তুত হয়ে আছে। দুই দেশের জনগণের যে গভীর সম্পর্ক ওই উৎসব তাকে আরও প্রগাড়ও করবে। বেলা সাড়ে ১১টায় হাইকমিশনার জেলা শহরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখানে তাকে কালীবাড়ি কমিটির সভাপতি ডা. অরুণ কান্তি বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বিভূতি রায়সহ অন্যান্যরা স্বাগত জানান। কালীবাড়িতে রিভা গাঙ্গুলী দাশ দর্শনার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বেলা ১২টায় ঢাকায় রওনা হয়ে যান।

সর্বশেষ খবর