বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিটি ভোটে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যে ভোট হয়ে গেল, তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনে ‘ব্যাপক কারচুপি’ হয়েছে। এ কারণে ফল বাতিল করে নিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনায় নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে ফল ঘোষণার দাবি জানান তিনি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে দলের দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ দাবি জানান। ঢাকার দুই সিটির ভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অত্যন্ত সচেতনভাবে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে।

 তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা না থাকায় নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে একদলীয় বাকশালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দলটি ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে ও নতুন রূপে বাকশালি কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র ফিরবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ঢাকার দুই সিটিতে ৭ থেকে ৯ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে দাবি করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলছি- এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এত আয়োজনের পরও ভোটাররা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। সে কারণে আমরা দেখতে পেলাম নির্বাচনে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়নি।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমরা বারবার নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বলে দাবি করে আসছি।’

সর্বশেষ খবর