আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিরোধী দল শক্তিশালী হোক, বড় সমাবেশ করুক আমরা সেটা চাই। কারণ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। কিন্তু নেতিবাচক রাজনীতি এবং সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনগুলোতে বিএনপির পরাজয় হচ্ছে।’ গতকাল  রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন হতাশা থেকে অনেক কথা বলছে। পরাজিত হয়ে তারা যে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, সেটা তাদের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, তাদের নিজেদের মধ্যেই নেতৃত্বের আস্থাহীনতা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে নানা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়। তাহলে কর্মীদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, কেমন করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে?’ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়ে সামগ্রিকভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের দলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা ভবিষ্যতে অতীতের ভুলত্রুটি এড়িয়ে পথ চলতে পারব।’ সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আবদুর রহমান, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অসীম কুমার উকিল, আ খ ম জাহাঙ্গীর, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।