রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দিল্লিতে এগিয়ে আম আদমি পার্টি

বুথফেরত সমীক্ষা

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

সিএএ নিয়ে শাহিনবাগ আন্দোলনের আবহে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে বিধান সভার ভোট। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে বেশ কম। তবে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এ ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮২ জন। তবে দুপুর পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভোটারও ভোট দিতে আসেননি। পরে ভোটারের উপস্থিতি বেড়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, আম আদমি পার্টি (এএপি) আবারও ক্ষমতায় বসছে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধান সভায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিজেপির সুনীল যাদব এবং কংগ্রেস দলের রমেশ সাব্বারওয়াল। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কে বা কোন দল দিল্লির ক্ষমতায় আসছে- সেটাই এখন সর্বস্তরে আলোচনার মুখ্য বিষয়। অবশ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিজেপির সুনীল যাদবের মধ্যে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ১৯৯৮ সালে দিল্লির ক্ষমতা হারায়। তারপর থেকে এ ক্ষমতা আম আদমি পার্টির দখলে রয়েছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, এবার ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিয়ে আম আদমি পার্টি যেমন গতবারের রেকর্ড (৬৭ আসন জয়) ভাঙতে মরিয়া, অন্যদিকে ৬৬ আসনে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি কমপক্ষে ৪৫ আসন জিতে দিল্লিতে সরকার গড়বেন বলেই প্রত্যয়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মতো প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রের তাবৎ মন্ত্রী, যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শরিক নীতীশকুমারের মতো বিহারের প্রভাবশালী মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রচারে নামিয়েছিল বিজেপি। অন্যদিকে কেজরিওয়ালের টার্গেট এবারও জিতে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের রেকর্ড ছোঁয়া। আর কংগ্রেসের চেষ্টা সরকার গড়ার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নেওয়া। তবে দিল্লির ভোটে লড়াই সরাসরি আপ বনাম বিজেপির। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই ৬৬ জন করে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি আসনে লড়ছে শরিকরা। ওয়াবেহলারা অবশ্য বলছেন, এবার নির্বাচন ত্রিমুখী হতে চলেছে শাসক আম আদমি পার্টি, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। এদিকে খোঁজখবর নিয়ে ভোটের দিনেও দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি উল্লেখ করেন, তিনি নাকি মনে করেন বিজেপিই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটবে ১১ ফেব্রুয়ারি।

সর্বশেষ খবর