রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের এক দফা দরকার

ড. আকবর আলি খান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, সিভিল সমাজকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। যদিও তারা সবসময় রাজনীতি এড়াতে পারে না। তবে স্বতন্ত্র থাকাই ভালো। বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা রাতারাতি দূর করতে হবে না। কারণ রাজনীতিকরা এই সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, তারা এটি সহজে দূর করবেন বলে মনে হয় না। তাই আমি মনে করি, এখন এক দফা দাবি তোলা দরকার, সেটা হলো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। গতকাল সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মাল্টিপারপাস হলরুমে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান। বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা, সিপিডির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা হয়। সারা দেশ থেকে প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়। ড. আকবর আলি খান আরও বলেন, সুজন সত্যিকার অর্থেই একটি সিভিল সমাজ। সুজন যেসব গবেষণামূলক কাজ করছে তার জন্য অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। তারা অত্যন্ত ভালো কাজ করছে। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আজকে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অথচ গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতেও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। তাই দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সোচ্চার করে তুলতে হবে। আবু হেনা বলেন, দেশের মানুষ ভালো ও যোগ্য হলে দেশও ভালো ও যোগ্য হয়। বিগত সময়ে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সুজনসহ অন্যদের ধারাবাহিক অ্যাডভোকেসির ফলে দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্কার সাধন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এতসব সংস্কারের পরও আজ আমরা কেন গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে চিন্তিত? আজ মনে হয়, যতই আইন করা হোক না কেন, যদি সেগুলো কার্যকর করা না হয় এবং সমভাবে সবার জন্য বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে সুজন নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রার্থীদের হলফনামা জনগণের সামনে তুলে ধরা। সুজনের এই প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা বদলের হাতিয়ার হলো নির্বাচন। কিন্তু আজকে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ জন্য আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সঠিক পথে আনা ও গণতন্ত্রকে কার্যকর করার জন্য আমাদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর