শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

উহান থেকে ভারতে ২৩ বাংলাদেশি

১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী অনিশ্চয়তায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে আটকে পড়া ২৩ বাংলাদেশিকে দিল্লিতে ফেরত এনেছে ভারত। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে ভারতের অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গে গতকাল সকালে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হয়। আগামী দুই সপ্তাহ দিল্লিতে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের কোয়ারেনটাইন (পর্যবেক্ষণ) করে রাখা হবে।

পিসিআর মেশিন ও কিট দিয়েছে দক্ষিণ  কোরিয়ার কোম্পানি : গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোরিয়ার একটি কোম্পানি বাংলাদেশকে একটি পিসিআর মেশিন ও ৫০ টেস্ট কিট হস্তান্তর করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যন্ত্রগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

সিঙ্গাপুরে একজন বাংলাদেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন : সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সিঙ্গাপুরে চারজন বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যিনি আইসিইউতে ছিলেন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪১৮ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং চলমান রয়েছে। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭০ যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। দুই সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৫ জনকে। রেলস্টেশনে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ জনকে। স্থলবন্দরগুলোয় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৬৯ জনকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ১০৯ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৭১৮ জন।

১০ হাজার ওমরাহযাত্রী অনিশ্চয়তায় : করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাহযাত্রী ও পর্যটকদের প্রবেশ সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে সৌদি সরকার। আকস্মিক এ ঘোষণার ফলে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার যাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে যেতে পারছেন না। ভিসা, টিকিট, অন্যান্য বিষয়ে টাকা খরচ করে আদৌ তারা সৌদি আরবে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে তাদের ভিসা, টিকিট, থাকা-খাওয়া খরচ বাবাদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথিবীর সব দেশের ওমরাহ ভিসা ও পর্যটক ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে। তার পর থেকে ওমরাহযাত্রী পাঠানো যাচ্ছে না। সকালে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের ভিসা আছে তারা যেতে পারবেন কিনা বিষয়টি অস্পষ্ট।’ তিনি আরও বলেন, ১০ হাজার ওমরাহযাত্রীর ভিসা হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার যাত্রীর টিকিট কাটা হয়ে গেছে। ওমরাহ করার জন্য সৌদিতে থাকার হোটেল খরচ বাবদ অর্থ খরচ করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা সে দেশে ঢুকতে পারছেন না। জানা গেছে, ওমরাহযাত্রীদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও ঢাকা বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। কিছু শিডিউল ফ্লাইট ওমরাহযাত্রীদের রেখেই সৌদি আরবে চলে গেছে। এসব যাত্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এজেন্সি মালিকরাও।

সর্বশেষ খবর