ঢাকায় ৯০ কিলোমিটার পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ২৩৮ কিলোমিটার করা হচ্ছে। গতকাল শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাতালরেলসহ চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়নকাজে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা আছে ৩১৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পাতালরেল নির্মাণের সমীক্ষা স্পেনের টেকনিকা কোম্পানি করবে। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ঢাকার তলদেশ ও ভূমির বৈশিষ্ট্য পাতালরেল (আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে) নির্মাণের উপযোগী, যা জাপানের ওসাকা শহরের অনুরূপ। এ কারণে ওসাকা শহরের মতোই রাজধানীতে মাটির ২০ থেকে ২৫ মিটার গভীরে পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার মাটির ২০ থেকে ২৫ মিটার গভীরে পাতালরেল ছড়িয়ে পড়বে জালের মতো। অতিরিক্ত ১৪৮ কিমি দৈর্ঘ্যরে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়নকাজের জন্য ভেরিয়েশন বাবদ ৯৮ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৪২ এবং মূল চুক্তিমূল্য ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৩১ টাকা। সর্বমোট ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ৭৪ টাকায় সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব সিসিজিপির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। কমিটি ৩৬৫ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৮১৫ টাকা ব্যয়ে চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পুনঃ দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে প্যাকেজ-১-এর আওতায় লট নম্বর ১ ও ২-এর মাধ্যমে জিসিবি এলাকায় বার্থ নম্বর ৪ ও ৮-এ কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পাঁচ বছরের জন্য বার্থ অপারেটর (কার্গো) নিয়োগের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
