বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
গণফোরামে কোন্দল

কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ড. কামালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণফোরামের পাল্টা-পাল্টি কমিটি বহিষ্কারের প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করলেন সংগঠনটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সংগঠনের প্যাডে তার স্বাক্ষরে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই কথা জানান। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল যা ১০ মাস পর ভেঙে দেওয়া হলো। ড. কামাল হোসেন বলেন, সংগঠনের স্থবিরতা দূর করতে গত বছরের ২৬ এপ্রিল গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিশেষ কাউন্সিল ২০১৯ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি ওই বছরের ৫ মে ঘোষিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করছি। পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দলের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দায়-দায়িত্ব পালন করার জন্য ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করছি। এই কমিটি গণফোরামের গঠনতান্ত্রিক সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। কয়েক মাস ধরে গণফোরামে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করে। পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে। গত সোমবার গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক আবদুল হাছিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার এই চারজনের স্বাক্ষরে দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মহসীন রশীদ, শফিকউল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করে পাল্টা বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এই দুই বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তিতে ড. কামাল হোসেনের কোনো স্বাক্ষর ছিল না।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ড. কামাল হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নামের তালিকা চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। গণফোরামের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো আগের মতো যথারীতি বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনকে পুনরায় সভাপতি করে তাকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী সাবজেক্ট কমিটি গঠন না করে ৩/৪ জন কেন্দ্রীয় নেতা নিজেদের পছন্দমতো কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে সভাপতির দিয়ে অনুমোদন গ্রহণ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ফলে সংগঠনের গতি সৃষ্টির পরিবর্তে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় এবং কতিপয় দায়িত্বশীল নেতা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলার অভাব দেখা দেয় বলে উল্লেখ করা হয় ড. কামালের বিজ্ঞপ্তিতে।

সর্বশেষ খবর