শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
সাগর-রুনি হত্যা

আসামি তানভীরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আসামির তালিকা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তানভীর রহমানের করা আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এদিকে এ মামলায় র‌্যাবের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের আগে গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে হাই কোর্ট বলেছে, ‘সাংবাদিকরা রিপোর্ট পেলে ছাপাবেন। তাদের দোষ দেখি না।’ আদেশে আদালত বলেছে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদনের ওপর এই আদালতের শুনানির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে আদালত মনে করে, এ আবেদনের ওপর শুনানির এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি তোলায় তানভীর রহমানের করা আবেদনটি এ আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো। আদালতের এ আদেশের পর আসামি তানভীর রহমানের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এ আবেদনের ওপর শুনানির এখতিয়ার আদালতের রয়েছে, আদালত নিজেই তা বলেছে। এর পরও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপত্তি তোলায় আদালত আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে, যে কারণে চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হবে। ওই আদালতে কিংবা অন্য কোনো আদালতে তানভীরের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন করবেন তিনি। শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত তালুকদার সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ রিপোর্ট মিডিয়ায় কীভাবে গেল? হয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, নয় তো তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে এ রিপোর্ট ছুটেছে। কোর্টে উপস্থাপনের আগেই এভাবে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনমনে এক ধরনের পারসেপশন তৈরি হয়। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ছিলাম, আমি কাউকে কোনো রিপোর্ট দিইনি। ফলে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে দেখতে পারেন না।’ এ সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজই হলো খবরের পেছনে ছুটে চলা। তারা খবর সংগ্রহ করতে ছুটবেনই। আমরা তো সাংবাদিকদের কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা আদালত অবমাননার শামিল।’ এ সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘সাংবাদিকরা রিপোর্ট পেলেই ছাপাবেন, এটাই স্বাভাবিক। ওই রিপোর্টের সঙ্গে যদি তদন্ত প্রতিবেদনের মিল না থাকত, তখন তাদের দোষারোপ বা ধরার সুযোগ থাকত।’ এর আগে ১৪ নভেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং তানভীর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার র‌্যাবের পক্ষ থেকে হাই কোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করেছিল বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যম।

সর্বশেষ খবর