বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাই : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাই : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ভূমিকা রয়েছে। ভবিষ্যতেও তাদের সে ভূমিকা ধরে রাখতে হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছি?লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এখন বিশ্বব্যাপী একটি ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীতেই আর্থিক খাতে সংকট চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তবে এ সংকটের মধ্যে আমরা ভালো করছি। আমাদের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তিনি বলেন, এ সংকটের মধ্য দিয়েও ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাই। তাই সচেতনতার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকার সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। মুজিববর্ষে আর্থিকভাবে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সবাইকে। অন্যদিকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রকাশ করা প্রতিবেদনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। প্রতিষ্ঠানটির কাজই হলো এসব তথ্য বের করা, বিশ্লেষণ করা। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে তো আমাকে জানাবে। পত্রিকায় এসব তথ্য দিয়ে কী লাভ?’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জিএফআই আইডিয়ার ওপরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আইডিয়া দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। যেহেতু বিষয়টি জানি না, এ বিষয়ে কিছু বলব না। যদি এখান থেকে টাকা চলে যায়, তাহলে তো অর্থ মন্ত্রণালয়ের টাকাই যাবে। অর্থ পাচারের বিষয়ে মামলা ছাড়া কী করতে পারি? কারও কিছু অপরাধ থাকলে মামলা করি। মামলা করলে দুদক থেকে শুরু করে সরকারের অন্য তদন্ত সংস্থা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কাউকে জেলে পাঠায়, কেউ আবার মুক্তি পায়।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে সম্পদ গড়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক মামলা করেছি, অনেকে জেলে আছে। তবে সর্বশেষ বিষয়টি আদালত দেখে।’ জিএফআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা, যা দেশের চলতি বছরের (২০১৯-২০২০) জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান। প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। টাকা পাচারে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর