বাংলাদেশে গতকাল তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। খবরটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক মাধ্যমজুড়ে অনেকেই আতঙ্ক প্রকাশ করছেন। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সচেতনভাবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
যতদূর জানতে পেরেছি আক্রান্ত তিনজন সুস্থ আছেন। তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখনই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু হবে এমন নয়। আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন, এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তাই আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা। সতর্কতা বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো সাধ্যমতো মেনে চলার চেষ্টা করুন। করমর্দন থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেশির ভাগ ভালো হয়ে যায়। ৮০ ভাগ ঘরে থাকলেই ভালো হয়ে যায়। হয়তো তারা ‘সি’ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আর যারা ‘এল’ দ্বারা আক্রান্ত তারা হয়তো সিরিয়াস। তবে যাদের অন্যান্য রোগ থাকে এবং এটি দিয়ে আক্রান্ত হয় তাদের ঝুঁকিটা বেশি। ওই ধরনের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তার মধ্যে কিছু মানুষের আইসিইউ লাগে, কিছু মানুষের নিউমোনিয়া হচ্ছে, এটা হলে দুটি ফুসফুস কাজ করে না।করোনা মানেই আতঙ্ক নয়। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণা বলছে কভিড-১৯-এর সেরোটাইপ দুটি। এস আর এল। এস তুলনামূলক কম ভয়াবহতা নিয়ে আসে। যেহেতু সেরোটাইপ এল এ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি তাই আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতনতাই জরুরি। যেহেতু এটার কোনো চিকিৎসা নেই, টিকা নেই সুতরাং এটার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াটাই জরুরি।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ : প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।