শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার কী করে না করে সেটা বড় কথা নয়। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আসুন, আমরা দলমত নির্বিশেষ সব রাজনৈতিক দল,  পেশাজীবী সংগঠনসহ সবাই সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য জনসাধারণকে সচেতন করার কর্মসূচি গ্রহণ করি। এর ফলে সরকার যতটুকু করছে তার চেয়ে বেশি দেশের মানুষ উপকৃত হবে। গতকাল সকালে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘করোনাভাইরাস : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মেহেদি হাসান পলাশের সভাপতিত্বে জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক প্রমুখ। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সভা-সমাবেশ আপনারা পরিহার করুন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করা উচিত। সরকারের উচিত হবে না এই ঝুঁকি নেওয়া। যত রকমের সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, তত রকমের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এলেন না। কী কারণে তিনি এলেন না? তিনি এলেন না জানানোর পর সরকার ঘোষণা করে দিল যে, আমাদের এখানে করোনাভাইরাস সংক্রামক তিনজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

 করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দেশে নেই মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে আমি মনে করি না। এই সরকার একটি জবাবদিহিহীন সরকার, একটি অনির্বাচিত সরকার-এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার যে বলছে, তিনজন মাত্র শনাক্ত হয়েছে তার বাইরে কেউ নেই। কীভাবে বললেন? আমি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের কাছে জানতে চাই, আর যে কেউ নেই তার নিশ্চয়তা কীভাবে পেয়েছেন? দুইজন তার মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন। আর নরেন্দ্র মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) বক্তৃতা হয়ে যাওয়ার পর আর কি হবে কে জানে। সারা দেশের মধ্যে মুজিববর্ষ নিয়ে রাজনীতি করছে সরকার।

সর্বশেষ খবর