বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রয়োজনে চীনের মতো হাসপাতাল হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রয়োজনে চীনের মতো হাসপাতাল হবে

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাস চিকিংসা কিংবা নিয়ন্ত্রণে যত টাকা প্রয়োজন হবে তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চীনের মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়, তাতেও অর্থায়ন করা হবে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যে ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে আমরা তা থেকে মুক্ত আছি বলতে পারব না। তবে যাতে কম রাখা যায় সে কাজটি করতে হবে। আমাদের এখন অভিজ্ঞতা রয়েছে। চায়না যখন শুরু করেছিল তাদের অভিজ্ঞতা ছিল না। সবাই সবার জায়গা থেকে বলতে হবে কীভাবে সবাই মুক্ত থাকতে পারব। এটি সবার দায়িত্ব। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফেস করছে আর্থিক সক্ষমতা তাদের নেই, এটি ঠিক নয়।’  তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যন্ত্রপাতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট যদি দরকার হয় তা দেওয়া হবে। চায়না যেভাবে হাসপাতাল করেছে, সে ধরনের কোনো হাসপাতাল যদি করতে হয়, কম সময়ের মধ্যে স্পেসিফিক পারপাস বিল্ডআপ করে সেসব হাসপাতাল করার জন্য আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী কখনো না করবেন না, অর্থায়ন করার জন্য। আমরাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সবরকম সাহায্য করব অর্থায়ন করে, যাতে তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনোভাবে পিছিয়ে না থেকে কাজগুলো করতে পারে।’ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আইএমএফ ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে, সে টাকা বাংলাদেশ পাবে কিনা- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফ টাকা দিলে আমরা পাব। অন্যরাও দেবে। কোনো আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেলে অবহিত করা হবে।’ মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স ফাইল হালনাগাদ করে জমা না দিলে তাকে সরকারি কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে না। আমাদের সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক থেকে যত ঠিকাদারকে সিলেকশন দেওয়া হবে ততগুলো প্রজেক্ট অনুমোদন দেব। তারা যে ধরনের কন্ট্রাক্টরই হোক না কেন তারা ট্যাক্স দেওয়ার সক্ষমতা রাখে, আমরা দেখে নেব তাদের ট্যাক্স ফাইল আপটুডেট (হালনাগাদ) আছে কিনা। যাদের ট্যাক্স লাস্ট অ্যাসেসমেন্টের কপি আমাদের দেবে না, তাদের এ কাজ থেকে বাইরে রাখব। কাজ পাওয়ার জন্য কোয়ালিফাই করতে হলে এখন থেকে ট্যাক্স ফাইল ও আইটিন আপটুডেট রাখতে হবে। তাদের সম্পদের পরিমাণ কত এবং কী পরিমাণ তারা ট্যাক্স পেমেন্ট করে। ট্যাক্স প্রদানের সর্বশেষ সার্টিফেকেট কাজ পাওয়ার জন্য দরপত্রের সঙ্গে দিতে হবে। আমরা এসব কাগজপত্র বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। এর মাঝেও আমরা নতুন নতুন ট্যাক্স পেয়ারস পাব এবং আমাদের রেভিনিউ জেনারেশন আরও বাড়বে সেজন্য আমরা এ কাজটি করে দিয়েছি।’ বাজেট ঘোষণার সময় আপনি বলেছিলেন বাজেটে যা আছে তা-ই থাকবে এখন থেকে কোনো এসআরও জারি হবে কি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন এসআরওর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। বাজেট করার আগে কি কথা ছিল আমাকে এডিস মশায় কামড় দেবে? আমরা আস্তে আস্তে এর পরিমাণ কমাচ্ছি। আগে যেদিন ফাইনাল বিল পাস হতো সেদিনও অনেক এসআরও জারি হতো। এখন কিন্তু সে পরিমাণ জারি হয় না।’

সর্বশেষ খবর