শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের একমাত্র ল্যাব আইইডিসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত সন্দেহে ফোনকল বাড়ছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইন নম্বরে। কিন্তু দেশে করোনা আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার জন্য একমাত্র পরীক্ষাগার আইইডিসিআর। আক্রান্ত সংখ্যা বাড়লে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ হাজার ৯১৬টি ফোনকল এসেছে। গত বুধবার পর্যন্ত ৩৫১ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে টেস্ট করা হয়েছে। ভাইরাস ঠেকাতে অনেক প্রস্তুতির কথা বলা হলেও ভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষাগার মাত্র একটি। দেশের যেকোনো জায়গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হলে তার লালা, রক্ত সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে ঢাকার আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে। এ ব্যাপারে আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বৃদ্ধি, নমুনা সংগ্রহ, রোগ নির্ণয়, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ডাব্লিউএইচওর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটা নরমাল কোনো পরীক্ষা নয়। এ জন্য লেভেল-২ বা লেভেল-৩ পর্যায়ের ল্যাবরেটরি, দক্ষ ল্যাবটেকনোলজিস্ট ও পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর মেশিনের দরকার। যেটি দেশের সবখানে নেই। তবে নতুন ল্যাব চালু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি রিয়েল টাইম পিসিআর ও তিনটি কনভেনশনাল পিসিআর মেশিন আছে। প্রতিটা পিসিআরে একসঙ্গে ৯০টা পরীক্ষা বসাতে পারি। এই ৯০টা করে পরীক্ষা অনেকবার সম্ভব। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে আইইডিসিআর অবগত আছে। যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আরও কয়েকটি ল্যাবরেটরিতে পিসিআর মেশিন রয়েছে। সেখানেও রিএজেন্টর ব্যবস্থা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর