শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

অপ্রস্তুত হাসপাতালে আতঙ্কে চিকিৎসক

যশোর ও বরিশালে নেই শনাক্তের কিট, রংপুরে করোনা ইউনিটে যোগ দেননি ডাক্তার-নার্স, খুলনায় চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু, সরঞ্জাম নেই ময়মনসিংহে, চট্টগ্রামে নেই চিকিৎসকদের পোশাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপ্রস্তুত হাসপাতালে আতঙ্কে চিকিৎসক

প্রচন্ড জ্বর-কাশি নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন বাগেরহাটের মোংলা জয় বাংলা ব্রিজ এলাকার বাবুল চৌধুরী (৪০)। জরুরি বিভাগের টিকিট নিয়ে দেখাতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা সন্দেহে তাকে বহির্বিভাগের মেডিসিন ইউনিটে রেফার করেন। অসুস্থ বাবুলকে ধরাধরি করে বহির্বিভাগে নেওয়া হলেও কোনো চিকিৎসক তার কাছে যাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে সেখান থেকে আবার জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। পরে স্বজনরা কোলে করে জরুরি বিভাগে আনার পথে মারা যান বাবুল। রোগীর বড় বোন জাহানারা বেগম বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে বাবুল প্রচন্ড জ্বরে ভুগছিল। এখনো কেউই জানে না আসলে তার কী হয়েছিল।’ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিও ভবনে নামে মাত্র কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সেখানে করোনা পরীক্ষার কোনো সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রটেকটিভ গাউন, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে পারছে না সরকারি হাসপাতালগুলো। উপজেলা পর্যায়ের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রয়েছে চরম আতঙ্ক। ঢামেক হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও চিকিৎসক করোনা আতঙ্কে অফিসেই অনেকটা সেলফ কোয়ারেন্টাইন করছেন। তারা কোনো রোগী কিংবা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দেখাও করছেন না, কথাও বলছেন না। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে থাকে চিকিৎসকদের ভিড়। এদের কেউ ছুটি ও বদলির ছাড়পত্র নিতে ভিড় জমান। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের ছুটি ও বদলির ছাড়পত্র দেওয়া স্থগিত করে দেন হাসপাতাল পরিচালক। পরে তারা ফিরে যান বলে জানান পরিচালকের কার্যালয়ে কর্মরতরা। হাসপাতাল পরিচালকও দর্শনার্থী সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে কেউ এলে তারা পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী খন্দকার আবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আবুল বাশার তার প্রয়োজনের বিষয়টি পরিচালককে তার কক্ষে গিয়ে বলেন। এ ছাড়া পরিচালকের কক্ষে যেতে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

হাসপাতালের যারা ছুটিতে আছেন এবং যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো কিছু ডিসক্লোজ করব না। এখনো বলার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। আর এখন যা বলার তা আইইডিসিআর থেকে বলা হবে।’

এদিকে সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদকে নিজ অফিস কক্ষের দরজা ভিতর থেকে আটকে দিয়ে একাকী সময় কাটাতে দেখা গেছে। তার কক্ষের সামনে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও দেখা পাননি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) এক রোগীর স্বজন। সহকারী পরিচালকের দেখা না পাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে সেখানকার এক অফিস সহকারী বললেন, ‘স্যার কাউকে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি ভিতর থেকে দরজা লক করে রেখেছেন।’ করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬ মার্চ শেরেবাংলা মেডিকেলের নতুন বর্ধিত ভবনে পৃথক করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়।  তখন  করোনা চিকিৎসায় দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের কথা থাকলেও একটি স্টিলের শয্যা আর ছোট বক্স ছাড়া দেওয়া হয়নি কিছুই। নতুন ওই ওয়ার্ডের জন্য সাতজন সিনিয়রসহ ২৮ সদস্যের চিকিৎসক ও ৩০ সদস্যের নার্স দল থাকলেও তারা এ রোগের ওপর বিশেষজ্ঞ নন। গত কয়েক দিনে কয়েকটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে করোনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়েছেন মাত্র চিকিৎসকরা। এমন নামমাত্র প্রস্তুতি থাকলেও করোনা শনাক্তকরণের কোনো ব্যবস্থা (কিট) দেওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত। প্রতিষেধক তো পরের কথা। এত দিন সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) না থাকলেও গতকাল দেওয়া হয়েছে ১৬০টি পিপিই। এমনই চিত্র দক্ষিণের কোটি মানুষের ভরসাস্থল বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, এখন কোনো রোগী এলে রোগের উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা হবে।

রংপুরে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সদর হাসপাতালে ৩৯টি বেড প্রস্তুত রাখলেও সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক কিংবা নার্স যোগদান করেননি। এখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কোনো যন্ত্রপাতিও নেই। এখনো খোলা হয়নি কোনো কন্ট্রোল রুম কিংবা বিশেষ সেল। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী এলে তাকে শনাক্ত করতে ঢাকার আইইডিসিআরের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এভাবেই রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়েছে। রংপুরের জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, আপাতত ৩৯টি বেড থাকলেও এখানে ২০০ জনের চিকিৎসা করা যাবে। করোনা শনাক্তের কোনো যন্ত্রপাতি না থাকায় ঢাকার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করতে হবে। ঢাকা থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অনুমাননির্ভর চিকিৎসা দিতে হবে। চট্টগ্রামে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট-পিপিই) স্বল্পতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যেসব প্রোটেকশন সামগ্রী এসেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আবার স্থানীয়ভাবে ক্রয় করতে বলা হলেও কিছু সামগ্রী কিনতে অবহেলার অভিযোগ আছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০৬টি কম্বো প্রোটেকশন ড্রেস ও ১৫১টি সাধারণ ড্রেস, দুই ধরনের সার্জিক্যাল পেস মাস্ক, দুই ধরনের হ্যাক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটারাইজার এবং ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের গ্লাভস পাঠানো হয়। স্থানীয়ভাবে আরও কিছু সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার কথা থাকলেও তা কেনা হয়নি বলে অভিযোগ আছে। তবে নাম প্রকাশ না করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ‘আমরা সেবা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এর আগে আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও জরুরি।’ দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল। এ সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও এখনো বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবারও ভারত থেকে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী বাংলাদেশে ঢুকেছেন। তাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী কোনো যাত্রী ভারতে যেতে পারছেন না। ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের থারমাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও তা দিয়ে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। কারও শরীরে করোনা সংক্রমের লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকরা তার কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করছেন। এ ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্য যে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন, তাদেরও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে প্রতিদিন ঢাকা থেকে যশোর রুটে ৮ থেকে ১০টি ফ্লাইট চলাচল করে। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বড় সমস্যা হলো যশোরে করোনা শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা নেই। লক্ষণ দেখেই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।’

প্রবাসী অধ্যুষিত ও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সিলেট বরাবরই রয়েছে ঝুঁকিতে। দায়িত্বশীল মহল থেকে ঝুঁকির বিষয়টি প্রকাশ পেলেও সিলেটে করোনাভাইরাস ঠেকানো নিয়ে প্রস্তুতিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি কম। দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এখনো পরীক্ষা কিটই আনা হয়নি সিলেটে। কয়েক দিন আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরা সিলেটের কানাইঘাটের এক যুবককে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রাখা হয় হাসপাতালে। কিন্তু তিনি আসলেই করোনায় আক্রান্ত কি না, তা জানতে তার রক্তের নমুনা পাঠাতে হয় ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)। সেখান থেকে প্রতিবেদন আসার পর ওই যুবক ভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে নিশ্চিত হয়। কিন্তু এর মধ্যে পেরিয়ে যায় তিন দিন সময়। ওই যুবক যদি সত্যি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতেন, তবে তার মাধ্যমে এই তিন দিনে বিপদ আরও বাড়তে পারত। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জন্য হাসপাতালে ভেন্টিলেটর জরুরি। কিন্তু সিলেটের সবচেয়ে বৃহৎ এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কোনো হাসপাতালেই নেই ভেন্টিলেটরের সুবিধা। ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়লে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বিদেশিদের আসা-যাওয়া বেশি। তাই করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে সিলেট ঝুঁকিপূর্ণ।’ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার করার কোনো কিট বা যন্ত্রপাতি আমাদের নেই। কয়েক দিনের মধ্যে কিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ভেন্টিলেটরেরও ব্যবস্থা করার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।’

রাজশাহীতে তিনটি স্থানকে আইসোলেশনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো সংক্রামণ ব্যাধি হাসপাতাল, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। তবে সংক্রামণ ব্যাধি হাসপাতালে শুধু কয়েকটি বেড দিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য কোনো ওয়ার্ড খোলা হয়নি। কেউ শনাক্ত হলে সংক্রামণ ব্যাধি হাসপাতালে রেখে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে বা সেখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর আগে করোনা নিয়ে আতঙ্কে করোনা প্রতিরোধী পোশাকের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান জানান, তারা যাতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত না হন, সে জন্য করোনা প্রতিরোধী সরঞ্জাম দাবি করেছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ না করায় তারা কর্মবিরতিতে যান। বেলা ১২টার দিকে তাদের দাবি কিছুটা পূরণ হওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. হিবরুল বারী বলেছেন, ময়মনসিংহের দুটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ময়মনসিংহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার সরঞ্জাম নেই। তাই আপাতত ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটই (আইইডিসিআর) রোগ নির্ণয়ে একমাত্র ভরসা। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণ চিকিৎসাতেই রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে যেহেতু এই ভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন খুব জরুরি।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]

সর্বশেষ খবর