শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা মোকাবিলায় বিজ্ঞানীদের সাফল্য

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ওষুধ উদ্ভাবনে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে করোনার সংক্রমণের চিকিৎসায় জাপানে তৈরি একটি ওষুধ প্রয়োগ করে সুফল পাওয়ার দাবি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই আরও ওষুধ উদ্ভাবনে আশার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিউবাও এরই মধ্যে তৈরি করে ফেলেছে ওষুধ। সূত্র : ডেইলি মিরর, সান। জানা গেছে, জাপানের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ করোনার চিকিৎসায় কার্যকর বলে জানা গেছে। বিশ্বের কনিষ্ঠতম কভিড-১৯ রোগীও ‘সুস্থ হয়ে উঠছেন’। ইরানে ১০৩ বছর বয়স্ক এক লোক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর আগে ৯৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে ওঠেন। এদিকে সমাজতান্ত্রিক কিউবা বলেছে, তারা এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি করে ফেলেছে। এই ওষুধ তারা শিগগিরই অন্যান্য দেশে রপ্তানি করবে। জানা গেছে, ইন্টারফেরন আলফা টু-বি নামের একটি ওষুধ উদ্ভাবন করেছেন কিউবার চিকিৎসকরা, যেটিকে করোনাভাইরাস নিরাময়কারী হিসেবে দাবি তাদের। এই ওষুধ সেবনের ফলে ১৫০০ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে কিউবার ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা বায়োকিউবা ফার্মা গ্রুপের প্রেসিডেন্ট এডুয়ার্ডো মার্টিনেজ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘আলফা টু-বি’ ওষুধ প্রয়োগ করে ১ হাজার পাঁচশরও বেশি রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন তারা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের নির্বাচিত ৩০টি ওষুধের মধ্যে এটি অন্যতম। এই ওষুধই এখন বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা হবে। জানা গেছে, কিউবায় উদ্ভাবিত ওষুধটি চীনের জিলিন প্রদেশে অবস্থিত চ্যাংচুন হেবার বায়োলজিক্যাল টেকনোলজিতে উৎপাদন করা হয়। দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তির অংশ হিসেবে এটি যৌথ উদ্যোগে উৎপাদিত হচ্ছে। এডুয়ার্ডো মার্টিনেজ জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় ২২টি ওষুধ উদ্ভাবন করেছে কিউবা। এই ওষুধ কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এ উৎপাদন আরও বাড়ানোর বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলার ওষুধ সরবরাহ করার জন্য অনেক দেশ অনুরোধ করছে। আমরা ওষুধ সরবরাহ করব। কারণ আমাদের প্রয়োজনীয় সামর্থ্য রয়েছে। এতে দেশ ওষুধ সংকটে পড়বে না। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম ও উটারশেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এমন একটি অ্যান্ডিবডি (জীবাণু প্রতিরোধকারী উপাদান) খুঁজে পেয়েছেন, যা করোনাজনিত কভিড-১৯ রোগীকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম। গবেষকদের দাবি সত্যি প্রমাণিত হলে করোনার কার্যকর প্রতিষেধক তৈরির পথ আরও সুগম হবে। বাড়িতে বসেই করোনায় আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। তাতে অনেক মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে। এদিকে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে সাবাই মান সিং হাসপাতালের চিকিৎসকরা কভিড-১৯ রোগাক্রান্তদের ওপর এইচআইভি (এইডস), সোয়াইনফ্লু ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের সমন্বিত প্রয়োগ করছেন। এতে সফলতা পেয়েছেন বলেও দাবি তাদের। উল্লেখ্য, কভিড-১৯ পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রও। তারা বলেছেন, এ পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই কিট বাজারে আসছে, যার দাম হবে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা।

সর্বশেষ খবর