মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
রিজার্ভ চুরি

নিউইয়র্ক কোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক বিজয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজার্ভ চুরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলাটি করেছিল। এতে ব্লুমবেরি ছাড়াও রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ (আরসিবিসি) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়। নিউইয়র্কে কোনো কার্যক্রম নেই, ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলতে পারে না মর্মে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আবেদন করে বিবাদী হিসেবে নাম থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট মামলাটির শুনানি নিয়ে বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিকভাবে চুরির প্রমাণ পাওয়ায় মামলাটি স্টেট কোর্টে দায়ের করার আদেশ দিয়েছে।

নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে হয়েছিল। এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত, জালিয়াতির মাধ্যমে পেমেন্ট অর্ডার, বিভিন্ন করেসপন্ডেন্ট অ্যাকাউন্টে চুরিকৃত অর্থের লেনদেন সবই নিউইয়র্কে সংঘটিত হয়েছে। ফলে আরসিবিসি, স্যোলায়ার, মাইডাস ও অন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, চুরি, রূপান্তরের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের পরিবর্তে নিউইয়র্কের স্টেট আদালতে দায়ের করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রেকটিয়ার ইনফ্লুয়েন্স অ্যান্ড করাপ্ট অ্যাক্ট (রিকো) আওতায় মামলাটি দায়ের করেছিলাম। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বিচারের জন্য এটি গ্রহণ করে। আমাদের মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিউইয়র্কে না থাকায় মামলাটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের পরিবর্তে স্টেট কোর্টে দায়ের করতে হবে। আমরা দ্রুত স্টেট কোর্টে মামলা দায়ের করব। বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা খারিজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যে মামলা দায়ের করেছিলাম সেটি প্রতিফলিত হলে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ পাব। ডিস্ট্রিক কোর্টের এই রায়ে আমরা প্রাথমিক জয় পেয়েছি।’

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এ অর্থ।

সর্বশেষ খবর