শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা ঠেকাতে বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন গবেষণা

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আরও অগ্রগতি এসেছে। এরই মধ্যে জার্মানি এ ভাইরাস পরীক্ষার কিট আবিষ্কার করে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়াও একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অনেক দূর এগিয়েছে। চীন সম্প্রতি ভল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করে একটি গবেষণা চালাচ্ছে। সূত্র : ব্লুমবার্গ, ডেইলি মেইল, জি-নিউজ।

সবশেষ খবর অনুযায়ী, জার্মানির বিখ্যাত রবার্ট বোচ জিএমবিএইচ কোম্পানি করোনাভাইরাস পরীক্ষার নতুন কিট আবিষ্কার করেছে। এই কোম্পানি বলছে, নতুন কিটের মাধ্যমে দুই দিনে নয়, মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি আছে কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। রবার্ট বোচ জিএমবিএইচ কোম্পানির স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ নতুন এই কিট আবিষ্কার করেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি এবং মেডিকেলে তাদের তৈরি এই কিটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। বোচের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ভাইরাল রোগের পাশাপাশি করোনা শনাক্ত করতে সক্ষম এই কিট। আগামী এপ্রিলেই জার্মানিতে এই কিট বাজারজাত করা হবে। তবে বিশ্ববাজারে এই কিট পাওয়া যাবে আরও পরে। খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর অন্যতম চাবিকাঠি হলো এর সংক্রমণ শনাক্তকরণ। দক্ষিণ  কোরিয়া এবং জার্মানিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হওয়ায় এখন পর্যন্ত এই দেশ দুটিতে মানুষের মৃত্যু হার কম। অন্যদিকে ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের গতি ধীর হওয়ায় এই দুই দেশে আক্রান্ত এবং মৃত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এদিকে যক্ষ্মা রোগ টিউবারকিউলোসিস (টিবি) চিকিৎসায় যে ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়, তা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর কি না নিশ্চিত হতে চার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন (বিসিজি) নামের এই ভ্যাকসিন শিশুদের টিবি প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিসিজি টিকা শুধু যক্ষ্মা প্রতিরোধই করে না, এর বহুবিধ গুণও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা চার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর প্রয়োগের ফলে সার্স-কোভ-২ (সার্স করোনাভাইরাস) প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শরীরে অতিরিক্ত রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় কি না এবং কভিড-১৯-জনিত উপসর্গ কমে যায় কি না- তা দেখতে চান তারা। টিবি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নের মুরডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক। এতে অংশ নিচ্ছেন দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের চার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। এ ব্যাপারে মুরডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ক্যাথরিন নর্থ এসি  বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগ কভিড-১৯ প্রতিরোধে ও ফ্রন্টলাইনে থাকা আমাদের বীরত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবন বাঁচাবে।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, একই উদ্যোগ নিয়েছে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, Tan Re Qing নামের একটি ইনজেকশন করোনা রোগীদের সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করছে চীন। সেই ইনজেকশনের ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর