বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে

করোনায় নতুন পণ্য রপ্তানির সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। গতকাল ওই বৈঠকে উন্নত দেশগুলোতে পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট), করোনা পরীক্ষার কিট, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র জানায়, আলোচনার মূল বিষয়টি ছিল সংকটকালীন বাংলাদেশ কীভাবে নতুন বা বিকল্প পণ্য রপ্তানি বাড়াতে পারে, কল-কারখানা চালু রাখতে পারে তা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ এখন বাংলাদেশের কাছ থেকে করোনা প্রতিরোধী মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নিতে চাইছে। রপ্তানি খাতে এটা একটা সুযোগ তৈরি করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনি, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দফতরের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা। বৈঠক সূত্র জানায়, কুয়েতে বাংলাদেশের যেসব সেনাসদস্য শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের জন্য ভাইরাস প্রতিরোধী পিপিই, মাস্কসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। সেখানে এ ধরনের পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ব্যবসায়ীরা নতুন এসব পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, তৈরি পোশাক নির্মাণে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী এটি উন্নত দেশগুলোর জানা। সাম্প্রতিককালে ইউরোপের কয়েকটি দেশে যেসব পিপিই, মাস্ক, করোনা পরীক্ষার কিট আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোর গুণগতমান সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছিল না বলে তারা ফেরতও পাঠিয়েছে। এখন এ সুযোগটি বাংলাদেশ নিতে পারে। তবে রপ্তানির এ সুযোগ নিতে হলে খোলা রাখতে হবে কল-কারখানা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বব্যাপী যে লকডাউন চলছে, এর প্রভাবে বাংলাদেশেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিল্প-কারখানা। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, শিল্প-কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকার থেকে আসেনি। যারা কারখানা চালাতে চান, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারাখানা চালাবেন। রপ্তানি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটি দান নয়। এটি ২ শতাংশ সুদে দেওয়া হয়েছে। সেটা সময়ের ব্যবধানে পরিশোধ করতে হবে। কীভাবে তা শ্রমিকদের কাছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর