বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, মানুষের মধ্য থেকে কিছুতেই আতঙ্ক কাটছে না। অবশ্য তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। আমেরিকার মতো দেশে যখন দেখা যায়-এক মাসেরও কম সময়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন মারা যায়, তখন আমাদের দেশের মানুষ আতঙ্কিত হতেই পারে। এ আতঙ্ক কাটিয়ে সচেতনভাবেই সবাইকে কয়েকটি  দিন ঘরের ভিতরে অবস্থান করতে হবে। গতকাল বিকালে এক টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা না লুকিয়ে জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হাসপাতালেই ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণের ঘাটতি রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালগুলোকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। যাতে করোনা আক্রান্ত রোগীসহ সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হন। তিনি বলেন, শুধু সরকারের আশায় বসে থাকলে হবে না। যাদের ন্যূনতম সামর্থ্য আছে-তাদের হতদরিদ্র ভুখা মানুষের দিকে অবশ্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে অতি দরিদ্রদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে হবে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি কোনো রোগী যাতে চিকিৎসা সেবা ছাড়া ফেরত না যান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে- একজন রোগী ১৬ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সে থেকে ৬টি হাসপাতাল ঘুরে একরকম বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, এত বড় বৈশ্বিক বিপর্যয় সবাইকে মিলে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে বিপদের দিকে ঠেলে  দেবেন না। আমরা সম্মিলিতভাবে এ দুর্যোগের মোকাবিলা করতে চাই। এই মুহূর্তে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের। প্রয়োজন সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানুষকে সচেতন করা, মানুষের মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হবেন না, একে অপরকে সহযোগিতা করুন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করুন। আর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়া ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলোর খাদ্য সহযোগিতায় সামর্থ্যবান সবাই এগিয়ে আসুন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর