শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

নওগাঁয় বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পত্নীতলা ও আত্রাই উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশের ভাষ্য মতে, নিহত দুই ব্যক্তির একজন অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলার আসামি এবং অন্যজন ‘শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’।

নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, নিহত দুজনের মধ্যে একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। অন্যজন ৮টি অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলার আসামি। পত্নীতলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার দিবরদিঘী এলাকায়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালুঘা গ্রামে। পুলিশের ভাষ্য, জাহিদুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও সাপাহার থানায় ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, গোপন সূত্রে মাদক বেচাকেনার খবর পেয়ে পত্নীতলা থানা পুলিশের সহযোগিতায় নওগাঁ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রাত ২টার দিকে উপজেলার দিবরদিঘী এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের দলটি দিবরদিঘী সামাজিক বনায়ন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাহিদুল ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই অভিযানে পত্নীতলা থানা পুলিশের চার সদস্যও আহত হন।

 তিনি আরও বলেন, ওই অভিযানে জাহিদুলের সঙ্গীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সেখান  থেকে একটি শুটারগান, গুলি, হাঁসুয়া, ৯৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহিদুল ইসলাম বালুঘা গ্রামের মৃত রফাতুল্লাহর ছেলে। অন্যদিকে আত্রাই থানা পুলিশ বলছে, উপজেলার তিলাবুদুরী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মিনহাজুল ওরফে শিকদার (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়ের ভরতেঁতুলিয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে আত্রাই ও রানীনগর থানায় ৮টি অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন জানান, বুধবার রাত ৩টার দিকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলার পলাতক আসামি উপজেলার তেলাবুদুরী এলাকায় আরও কয়েকজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে অবস্থান করছে এমন তথ্য ছিল পুলিশের কাছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় নওগাঁ ডিবি পুলিশ ওই স্থানে অভিযানে গেলে মিনহাজুল ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে মিনহাজুল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিকদার আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর