শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দরিদ্রদের সহায়তা

ভোলা প্রতিনিধি

করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দরিদ্রদের সহায়তা

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, করোনা দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দরিদ্রদের সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। একসময় সবই ঠিক হয়ে যাবে। গতকাল তোফায়েল আহমেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ভোলা সদর উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ভিডিও কনফারেন্সে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগের সময় হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে হবে। কর্মহীন দরিদ্রদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। প্রত্যেককে যার যার ঘরে থাকতে হবে। বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা ও কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের জীবন রক্ষা করতে ঘরে থাকতে ছুটি দিয়েছেন। কেউ কোথাও ভিড় করবেন না। প্রত্যেককে ধৈর্যের সঙ্গে কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হবে। সতর্ক থাকার মাধ্যমে এ দুর্যোগের হাত থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে এবং দেশকে রক্ষা করতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসের একটা মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও গৃহীত পদক্ষেপে দেশের মানুষ যত্নবান হয়েছে।

নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছে। সরকারিভাবে খেটে খাওয়া মানুষজনের জন্য নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সঠিকভাবে যেন হয় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার তাগিদ দিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। পরে সদর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও  জনপ্রতিনিধিদের হাতে খাদ্য সহায়তার প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। তারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে তালিকা অনুযায়ী কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, ইউপি চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিমউদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তাজুল ইসলামসহ ১৩ ইউনিয়নের পক্ষে ১৩ জন। খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৭ কেজি আলু, একটি সাবান, এক কেজি পিয়াজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর