পরীক্ষাগারের সংখ্যা দ্বিগুণ করে এপ্রিলের মধ্যে দেশজুড়ে অন্তত ২৮টি স্থানে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা করবে সরকার। কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এর মধ্যে ঢাকায় নয়টি এবং ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটিসহ মোট ১৪টি ল্যাব পরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মহাপরিচালক আরও বলেন, সারা দেশে আমাদের প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ করছি। এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগেই অন্তত ২৮টি প্রতিষ্ঠানে এ পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। সেগুলোতে পরীক্ষাও শুরু করা যাবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যেকটি বিভাগে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের আরটি-পিসিআরের জন্য মেশিন বসানোর ও পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ৭১ হাজার কিট মজুদ রয়েছে। আরও কিট আসার পথে রয়েছে। সব পরীক্ষাগারে পিসিআর কিট সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা মনে করছি পিসিআর পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াব এবং অতিরিক্ত পিসিআর পরীক্ষার জন্য যে কিট প্রয়োজন হবে তা সরবরাহের অভাব হবে না- এটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬০টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ আছে ৬৪ হাজার ৪১০টি। যেখানে যখন পিপিই প্রয়োজন সেখানে তা বরাদ্দ দেওয়া হবে।