শিরোনাম
সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

মৃত্যুর বিভীষিকায় বিশ্ব

প্রাণ গেল ৬৬ হাজার আক্রান্ত ১২ লাখ, ভয়াবহতা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে, কমছে ইতালি-স্পেনে

প্রতিদিন ডেস্ক

মৃত্যুর বিভীষিকায় বিশ্ব

মহামারী করোনায় বিশ্বজুড়ে এখন শুধুই মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সারি, যোগ হচ্ছে নতুন নতুন আক্রান্ত মানুষ। বন্ধ রয়েছে সব রকম যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য-উৎপাদন-আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড। লকডাউনে রয়েছে অফিস-আদালত-কলকারখানাসহ স্বাভাবিক জীবনযাপন। পৃথিবী পার করছে অনাকাক্সিক্ষত দুঃসময়। সব মিলে আতঙ্ক আর বিভীষিকায় ল-ভ- অবস্থা চলছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এমনকি লাশের ব্যাগেরও সংকট চলছে। দেশটিতে ভয়াবহতা কেবলই বাড়ছে। অন্যদিকে এমন অবস্থা থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসছে ইতালি ও স্পেন। অবশ্য ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন অনেক আগেই এ বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। গতকাল ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় বিশ্বব্যাপী মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৭ হাজার এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ।

গত শনিবারের মৃত্যু : শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে এদিন ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১ হাজার ৩৩১ জন। এরপর এ মৃত্যু তালিকায় ছিল ফ্রান্সে ১ হাজার ৫৩, স্পেনে ৮০৯,  যুক্তরাজ্যে ৭০৮, ইতালিতে ৬৮১, জার্মানিতে ১৬৯, নেদারল্যান্ডসে ১৬৪, ইরানে ১৫৮, বেলজিয়ামে ১৪০ জন। বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে এদিন মোট নতুন মৃত্যু ছিল ৫ হাজার ৮০১ জন। এ ছাড়া এদিন ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪ হাজার ১৯৬ জন, স্পেনে ৬ হাজার ৯৬৯ জন, ফ্রান্সে ৭ হাজার ৭৮৮ জন, জার্মানিতে ৪ হাজার ৯৩৩ জন, ইতালিতে ৪ হাজার ৮০৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার ৭৩৫ জন, তুর্কিতে ৩ হাজার ১৩ জন, ইরানে ২ হাজার ৫৬০ জন। সব দেশ মিলিয়ে এদিন মোট নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ৮১০ জন।

মৃত্যু কমছে ইতালি-স্পেনে, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে : জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ১২ হাজারের বেশি, মৃত্যু ছাড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশে মহামারী দাপিয়ে বেড়ালেও ইতালি ও স্পেনে মৃত্যুহার কমার চিহ্নে আপাতত স্বস্তি মিলছে। ইতালিতে শনিবার ৬৮১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগ। ২৩ মার্চের পর দেশটিতে এক দিনে এটিই ছিল সবচেয়ে কম মৃত্যু। রয়টার্স জানিয়েছে, ইতালিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা গুরুতর রোগীর সংখ্যাও কমেছে। এদিন দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪ হাজার ৮০৫ জন শনাক্ত হয়, সংখ্যাটি গত কয়েকদিনের তুলনায় একটু বেশি। মৃত্যু-আক্রান্তের সংখ্যা কমছে স্পেনেও। শনিবার দেশটিতে ৮০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা শুক্র ও বৃহস্পতিবারের চেয়ে কম। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় স্পেন ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যায় জার্মানির পর থাকা ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার পেরিয়ে গেছে। বিভিন্ন নার্সিং হোমগুলোতে পড়ে থাকা মৃতদেহ যোগ করায় গত কয়েকদিনে দেশটিতে মৃতের সংখ্যায় বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে।

আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাজ্যেও। শনিবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন ভূখন্ডে কভিড-১৯ এ ৪ হাজার ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

এশিয়ার অন্যতম করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার ৫৫ হাজার ৭৪৩ জনে দাঁড়ায়, তিন হাজার ৪৫২ মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়েছে দেশটি; এখানে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭৩৬ জন। এ ছাড়া ইরানের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭০ জন, মৃতের সংখ্যা ২৯ এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪২০। ইসরায়েলে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৪৬ ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪৭৭ জন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেও করোনাভাইরাস তার ভয়াল থাবা নিয়ে হাজির হয়েছে। আক্রান্ত-মৃত্যু বাড়ছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ায়। এদের মধ্যে মালয়েশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৯১৫ জন। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর দেশটি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ভারতে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। পাকিস্তানেও এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের তথ্য দিয়েছে ডন; দেশটিতে কভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।

মৃত্যুতে চীনকে ছাড়িয়েছে নিউইয়র্ক : বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। গতকাল খবর পাওয়া পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৬৫ জন। রয়টার্স জানিয়েছে, সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থা বিরাজ করছে নিউইয়র্ক শহরের পূর্ব দিকের লং আইল্যান্ডে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ‘দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে’ বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। অঙ্গরাজ্যটিতে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ৬৩০ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়, যা সেখানে এ পর্যন্ত এক দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। এদের নিয়ে অঙ্গরাজ্যটির মোট মৃত্যের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ২৬২৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নিউইয়র্ক শহরে।

ট্রাম্প বললেন, যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষ মারা যাবে : খারাপ খবর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে আরও খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী কয়েকদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি মানুষ মারা যাবেন। বিবিসি ও আল জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় ট্রাম্পের বরাত দিয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত (করোনা সংক্রমণের ফলে) আরও অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহ এবং আগামী সপ্তাহে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন সময় হতে চলেছে।

ভারতের কাছে ওষুধ চাইলেন ট্রাম্প : ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত শনিবার জানান, এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন তারাও। ট্রাম্প আরও বলেন, ভারতে বিপুল পরিমাণে এই ওষুধ তৈরি হয়। সেখানে এই ওষুধের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। যে পরিমাণ ওষুধের বরাদ্দ দিয়েছি আমরা, তা সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি ভারতকে।

উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরপরই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। আনন্দবাজার জানায়, দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাইরেক্টরেট জেনারেল (ডিজিএফটি)-এর কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছিল, অবিলম্বে এই ওষুধের রপ্তানি নিষিদ্ধ করবে ভারত। পাশাপাশি ওই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয় যে, এখন থেকে শুধু মানবিক কারণে এবং আপৎকালীন প্রয়োজনেই এই ওষুধ রপ্তানি করা যাবে।

বরিস জনসনের অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবী আক্রান্ত : মাত্র মাসখানেক আগেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা দিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবী কেরি সাইমন্ডসকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন সব কিছু ওলট-পালট হতে চলেছে। ২৭ মার্চ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার এক সপ্তাহের মাথায় বরিস জনসনের অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীর করোনা আক্রান্তের খবর দিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া। ডেইলি মেইলের অনলাইন ভার্সনে পরিবেশিত খবরে বলা হয়, কেরি সাইমন্ডস গতকাল দিনের শুরুতেই টুইটারে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, সাত দিন ধরে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিছানাশায়ী রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে ৫জি টাওয়ারে আগুন : গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ৫জি নেটওয়ার্কের কারণে করোনা ছড়াচ্ছে। এ গুজবের জেরে গত শুক্রবার আগুন লাগানো হয়েছে বার্মিংহামের একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে যুক্তরাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে যে, ৫জি নেটওয়ার্ক করোনাভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে। এরপর অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে থাকেন- ‘করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যার যার এলাকার ৫জি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দাও। এসব টাওয়ার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে।’ এরপর এমন ধারণা বিশ্বাস করে বার্মিংহামের ওই ৫জি টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। অবশ্য গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়ে গবেষকরা বলেছেন, ৫জি প্রযুক্তির সঙ্গে করোনাভাইরাস বিস্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইতালির বারান্দায় ঝুলছে ঝুড়ি : করোনার জেরে গোটা ইউরোপ প্রায় স্তব্ধ। এতে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষগুলো। তাদের খাবার জুটছে না প্রায়ই। এবার তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন ইতালির নেপলসের স্থানীয়রা।

তাই দক্ষিণ ইতালির নেপলসে দেখা যাচ্ছে এক অদ্ভুত মন ভালো করা দৃশ্য। সেখানে বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ঝুড়ি। আর তার সঙ্গে কাগজে লিখে বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কাগজে লেখা, ‘যদি পারেন কিছু রেখে যান, না পারলে নিয়ে যান।’ ঝুড়িগুলোতে বিভিন্ন রকম খাদ্যদ্রব্য রাখা থাকছে।

আসলে নেপলসে যাদের খাবার জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে, তাদের জন্য স্থানীয়রা এমন ব্যবস্থা করছেন। সেখানে অন্য কেউ চাইলে খাবার রেখে সাহায্যও করতে পারেন, আবার যাদের খাবারের প্রয়োজন তারা নিয়েও  যেতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খাবারের ঝুড়ি ঝুলিয়ে রাখার ছবি শেয়ার হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ ঝুড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। ঝুড়িতে, পাস্তা, রুটিসহ বিভিন্ন রকম খাবার রেখে দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানো যাচ্ছে না : কলকাতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা এখন সম্ভব নয় বলে গতকাল দিল্লি হাই কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ অধ্যয়নরত কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর আটকে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন গৌরব কুমার বনশাল নামে এক আইনজীবী।

সর্বশেষ খবর