বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বে প্রাণহানি ৮৪ হাজার

আক্রান্ত ১৫ লাখ, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর রেকর্ড, সেই উহান লকডাউন মুক্ত

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে প্রাণহানি ৮৪ হাজার

উহান : চীনের উহান যেখান থেকে নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। দীর্ঘ লকডাউন শেষে গতকাল উন্মুক্ত করা হয়েছে সবকিছু। জনগণ তবুও রাস্তায় বের হয়েছেন মাস্ক পরে। -এএফপি

মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ লাখ, মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। গতকাল এবং আগের দিনের হিসাব অনুযায়ী, মৃত্যুর দিক থেকে রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার এক দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান ১ হাজার ৯৭০ জন এবং যুক্তরাজ্যে মারা যান ৮২৮ জন। গতকালও এ ধারা অব্যাহত ছিল। সূত্র : আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভঙ্গ করছে ব্রিটেনে। মঙ্গলবার ৮২৮ জনের মৃত্যুর পর গতকাল ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ওঠে ৯৩৬ জনে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড ৮২৮, স্কটল্যান্ড ৭০, নর্দান আইল্যান্ড ৫ এবং ওয়েলসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৩ জন। মৃত ৪৬ জনের পূর্বে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল না। এ সংখ্যা মিলিয়ে ব্রিটেনে করোনা আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৯৫ জন।

এক হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি দুই মিনিটে অন্তত একজনের প্রাণহানি হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) অনুসারে, মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পায়। আগের দিন সোমবার দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৩৯ জন। এর আগে রবিবার মারা গিয়েছিলেন ৬২১ জন। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে প্রতি দুই মিনিটে একজনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। অন্যদিকে, হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন প্রতি তিন মিনিটে একজন। স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছেন প্রতি পাঁচ মিনিটে একজন। মৃত্যু বাড়ছে : বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ হাজার ১২৪ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৮৬ জন। চীনের মৃত্যুহীন এদিনে আমেরিকায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ১ হাজার ৯৭০ জনের, যা এখন পর্যন্ত কোনো এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে ৪ এপ্রিল দেশটিতে করোনাভাইরাসে ১ হাজার ৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে যাওয়া রোগটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এদিকে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স এদিন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর রেকর্ড গড়ে। দেশটিতে মঙ্গলবার এক দিনেই ১ হাজার ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়। দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩৪৩ জনে। এ ছাড়া ইউরোপের দেশ স্পেনে আক্রান্ত হন ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ জন, মারা যান ১৪ হাজার ৪৫ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬ জন। দেশটিতে এদিন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১২৭ জন। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই স্পেনে করোনায় মৃত্যুর গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু গত মঙ্গলবার আচমকাই সেই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়। ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে মৃত্যু হয় ৭৪৩ জনের। যা গত পাঁচ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যান বলছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের এই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৩৭।

উন্নতি হচ্ছে ইতালি-স্পেনের : ইউরোপে সবচেয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া ইতালি ও স্পেনে পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি ঘটছে। সেখানে মৃত্যু কিংবা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে থাকা ইতালিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৭ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু ঘটে; আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬। এ ছাড়া মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেন আক্রান্তের সংখ্যাও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৫ জনের মৃত্যু ঘটে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভারতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৩৫১ জন হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজারের বেশি রোগী মহারাষ্ট্রের। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ জনে। পাকিস্তানে এক দিনে দুই শতাধিক নতুন রোগী পাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৩৫ জন। আক্রান্তের অর্ধেকই পাঞ্জাবের। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে।

ব্যাপকহারে মারা যাচ্ছেন আফ্রিকান-আমেরিকানরা : করোনার প্রাদুর্ভাবে এখন বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে মার্কিন জনসংখ্যার নিরিখে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে আফ্রিকান-আমেরিকানরা ব্যাপকহারে মারা যাচ্ছেন। লুসিয়ানা, মিশিগান এবং ইলিনয় থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এ কথা জানা গেছে।

লকডাউন উঠে উহান ফিরল স্বাভাবিক অবস্থায় : নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী প্রথম যে শহর থেকে শুরু হয়েছিল চীনের সেই উহান এখন লকডাউনমুক্ত। গতকাল লকডাউন তুলে নেওয়ার পর চালু হয়েছে সব ধরনের যানবাহন। খুলেছে দোকানপাট-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।

রয়টার্স জানায়, দুই মাস লকডাউনে থাকার পর গতকাল প্রথমবারের মতো লোকজনকে শহর ছাড়ারও অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে এ দিন প্রায় ৫৫ হাজার লোক ট্রেনযোগে উহান ছাড়েন। এর আগেই উহানের তিয়ানহে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ভ্রমণকারী শহরটি ছেড়েছেন। তবে উহান থেকে রাজধানী বেইজিং ও বিদেশগামী ফ্লাইট চলাচল এখনো শুরু হয়নি।

শিয়াংজিয়াং শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উহানের হানকৌ রেলস্টেশনে সুটকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক লিউ শিয়াওমিন রয়টার্সকে বলেন, ‘আজ আমি বাড়িতে যাচ্ছি, আমি খুব খুশি।’

চীনের রেলপথ কোম্পানির উহান শাখা অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ২৭৬টি ট্রেন উহান থেকে চীনের সাংহাই, শেনচেন, ছেংতু ও ফুচৌসহ বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। টিকিট বিক্রির পরিমাণ থেকে জানা গেছে, ৮ এপ্রিল প্রায় ৫৫ হাজার যাত্রী উহান থেকে  ট্রেনে করে বিভিন্ন এলাকায় যান। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পার্ল নদীর বদ্বীপ এলাকার শহরে যান।

সৌদিতে ২ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা : আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়া। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান। এদিকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে ৫০ শতাংশ লোক সরকারি নির্দেশনা মেনে চলছেন।  এবার হুর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকি : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কড়া সমালোচনা করে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত মঙ্গলবার বলেছেন, হু অনেক বেশি চীনঘেঁষা খবর দিচ্ছে। এভাবে খবর প্রচার করলে হুর জন্য বরাদ্দ মার্কিন তহবিল স্থগিত করা হবে। রয়টার্স জানায়, হুর কঠোর সমালোচনা করে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া সত্ত্বেও চীনঘেঁষা।

এদিকে ট্রাম্পের এ অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা উড়িয়ে দেন।

 তিনি বলেন, ‘মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে বলছি, এটা সুস্পষ্ট যে কভিড-১৯ মোকাবিলায় ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাসের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অসাধারণ কাজ করছে। তারা বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে, দেশগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, নির্দেশনা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার শক্তি দেখাচ্ছে।’

ভিয়েতনামে যে কারণে করোনায় মৃত্যু শূন্য ও আক্রান্ত কম : সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে কোনো ব্যক্তি এখন পর্যন্ত মারা যায়নি। যেখানে এর প্রতিবেশী চীনসহ এশিয়ার দেশগুলোয় করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ ও সরকারগুলো ভাবিয়ে তুলেছে, সেখানে ভিয়েতনাম কী করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে রেখেছে এবং আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় ধরে রেখেছে, সেটাই আশ্চর্যের।

দ্য ডিপ্লোম্যাট ও জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ভিয়েতনাম সরকারিভাবে স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগ ও রোগের চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার যে কর্মসূচি বহুদিন ধরে চর্চা করে আসছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সেটি বড় ঢাল হিসেবে কাজ করেছে। আর যখন করোনাভাইরাস বা ‘কভিড-১৯’ দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েনি, তার আগেই ভিয়েতনাম গোটা দেশটাই লকডাউন করে দিয়েছে। এতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, ব্যাপক আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তখনই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। পাশাপাশি করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যাপক আকারে প্রচার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কীভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে, কী করলে সুস্থ থাকবে, এটাই ছিল প্রচারের মূল্য বক্তব্য। এসবের পাশাপাশি দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে বের করে পরীক্ষা করেছে। তবে গত ২ মার্চ সর্বনাশটা ঘটান দেশটির একজন প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী। ইউরোপের তিনটি দেশ ঘুরে ওই ব্যবসায়ী ভিয়েতনামের হ্যানয় বিমানবন্দরের দায়িত্বরত কর্মচারীদের পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েন দেশে। বিমানবন্দরের পরীক্ষায় ফাঁকি দিলেও ভিয়েতনামের পুলিশ তাকে ঠিকই আটক করে। এরপর জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। এরপরই ভিয়েতনাম সরকার একটা বড় পদক্ষেপ নেয়। সেটি হলো, ওই নারী যে বিমানে এসেছিলেন, তার সব যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তিনি যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই রাস্তা জীবাণুমুক্ত করা হয়, সেই পথের ধারে বাস করা প্রত্যেককে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এত সব করার পরও আক্রান্তের সংখ্যা ১৭-তে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি- সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৯ জনে।

ভিয়েতনামের স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করে, যদি ইউরোপফেরত নারী যাত্রী বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফাঁকি না দিতেন, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা এত বাড়ত না। কারণ, তিনি যেসব স্থানে গেছেন, সেখানের সবাইকে পরীক্ষার মধ্যে আনলেও সবকিছু ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

ওষুধ দিতেই ট্রাম্পের কাছে ভালো হয়ে গেলেন মোদি : করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ানিরোধী হাইড্রক্সিক্লুরোকুইন ওষুধ দেওয়া না হলে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ভারতকে হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাইড্রক্সিক্লুরোকুইনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘মহান’ এবং ‘প্রকৃত ভালো মানুষ’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

গুজরাটের তিনটি কারখানা থেকে হাইড্রক্সিক্লুরোকুইনের অন্তত ২  কোটি ৯০ লাখ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ধাপে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ট্রাম্পের সুরে এই বদল।

ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মিলিয়ন মিলিয়ন ডোজ হাইড্রক্সিক্লুরোকুইন কিনেছি ২ কোটি ৯০ লাখের  বেশি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। এই ওষুধের  বেশির ভাগই ভারত থেকে এসেছে। ওষুধটি ছাড়া যায় কিনা  সে ব্যাপারে মোদিকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি মহান। তিনি আসলেই একজন ভালো মানুষ।’

পদত্যাগ করলেন মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধান : মার্কিন নৌবাহিনী বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী থমাস মোডলি পদত্যাগ করেছেন। মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টে করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ারকে বরখাস্ত করার ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।

উল্লেখ্য, ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার এর আগে করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছিলেন, দ্রুত জাহাজের সেনাদেরকে সরিয়ে নেওয়া দরকার; তা না হলে সেনারা মারা যাবে। তার এই বক্তব্যের পর তাকে রণতরীর ক্যাপ্টেনের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর