শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্রিটেনে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য

করোনাভাইরাসে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বিবিসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গতকাল দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ৯৫৩ জন। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল গত বুধবার ৯৩৮ জন। আর বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেছিল ৮৯১ জন। এ নিয়ে ব্রিটেনে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৯৩১ জনে।

এই প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে গতকালের সংখ্যাটি ছিল সবচেয়ে বেশি। এদিন ইংল্যান্ডে ৮৬৬ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়। স্কটল্যান্ডে ৪৮ জন মারা গেছেন, ওয়েলসে ২৯ জন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে ১০ জন রেকর্ড করা হয়েছে। এনএইচএস ইংল্যান্ড জানিয়েছে, মৃতদের বয়স ছিল ২৭ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ৫৬ জনের আগে কোনো শারীরিক অসুস্থতা ছিল না।

যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশি যৌথ পরিবার : যুক্তরাজ্যে সাদাদের তুলনায় করোনা ভাইরাসে এশিয়ানরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সঙ্গে প্রাণ হারানোর তালিকায়ও এশিয়ানরা এগিয়ে রয়েছেন। ন্যাশনাল অডিট ও রিসার্চ সেন্টার এ তথ্য দিয়েছে। তারা বলছে, এশিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ব্রিটেনে যৌথ পরিবারে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। ন্যাশনাল অডিট ও রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারানো প্রথম রোগী ছিলেন এশিয়ান। এখন হাসপাতালে ভর্তি থাকাদের ৩৫ শতাংশই  এশিয়ান, যা যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত জনসংখ্যার ৩ গুণ বেশি। তথ্যে বলা হচ্ছে, প্রথম থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য বেশি এসেছেন এশিয়ানরা। আর এ কারণে গত কয়েক দিনের কেস স্টাডির ওপর গবেষণা করেন গবেষকরা।

এশিয়ানরা কেন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে- তার ওপরও গবেষণা করা হয়েছে। লেইস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কামলেশ খুস্তি জানান, এশিয়ানরা একই ঘরের মধ্যে পরিবারের অনেক সদস্য নিয়ে বসবাস করেন। তাছাড়া যেসব পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা আক্রান্তের আওতায় ছিলেন, তারা অনেকেই নিজ পরিবারে গিয়ে হোম আইসোলেশনের নিয়মটি যথাযথভাবে মানেনি।

যুক্তরাজ্যের সরকারি গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি এক ঘরে পরিবারের ভাই-বোন, মা-বাবা ও ভাই-বোন, সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। যেখানে দুই শতাংশ সাদাগোষ্ঠী এভাবে বসবাস করেন। তাছাড়া ১৬ শতাংশ পাকিস্তানি, ১৫ শতাংশ আফ্রিকান, ২২ শতাংশ ইন্ডিয়ান মানুষ এমন বাড়িতে বসবাস করেন। গবেষকরা বলছেন, এশিয়ানরা যদি প্রথমেই করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতেন, তাহলে তারা এত বেশি আক্রান্ত হতেন না। রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১৪ শতাংশ এশিয়ান।

সর্বশেষ খবর