শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকায় ফিরতে চান সহস্রাধিক বাংলাদেশি

লাবলু আনসার, নিউইয়র্ক

ট্যুরিস্ট/বিজনেস ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা সহস্রাধিক বাংলাদেশি অবিলম্বে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আবেদন জানিয়েছেন।

জানা গেছে, অনেকেই এক মাসের জন্যে এসেছিলেন, সঙ্গে সে অনুযায়ী ডলারও ছিল। করোনার কারণে তারা নির্দিষ্ট সময়ে ফিরতে পারেননি। এ অবস্থায় ডলারও শেষ হয়ে গেছে। তাই তারা এক ধরনের নাজুক অবস্থায় দিনাতিপাতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ তারা দেশে ফিরতে পারলে নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন। সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারাও এই দুঃসময়ে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পাদনে সক্ষম হবেন। নিউইয়র্কে খ্যাতনামা আইনজীবী ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার জানান, নিউইয়র্কসহ আশপাশের শতাধিক বাংলাদেশি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ। নগদ অর্থ যা এনেছিলেন তাও ফুরিয়ে গেছে। করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ঢাকায় ফিরতে পারছেন না। অ্যাটর্নি মঈন উল্লেখ করেন, এসব বাংলাদেশির প্রায় সবাই সরকারের পদস্থ আমলা অথবা নামকরা বিভিন্ন কোম্পানির মালিক। অথচ এখন তারা ভিক্ষুকের মতো অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাতে বাধ্য হচ্ছেন। লস এঞ্জেলেস, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, বস্টন, ভার্জিনিয়া, ফিলাডেলফিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা প্রভৃতি এলাকায় আটকে থাকা এসব বাংলাদেশি সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন, তাদের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে। অ্যাটর্নি মঈনের মাধ্যমে তারা আরও উল্লেখ করেছেন, সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পর তারা টিকিটের সমুদয় টাকা পরিশোধ করবেন। এ জন্য ঢাকায় ফেরার পর সরকার তাদের পাসপোর্ট জমা রাখতে পারবে। টিকিটের টাকা পরিশোধের পরই পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিলে কোনো সমস্যা হবে না।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশে করোনার কারণে আটকে পড়া আমেরিকানদের মধ্যে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৫০ হাজার জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ৮ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের নিয়মিত করোনা ব্রিফিংকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদেশে আটকে পড়া আমেরিকানদের এত ব্যাপক সংখ্যায় ফিরিয়ে আনার ঘটনা আর কখনই ছিল না।

বাংলাদেশসহ ৯০ দেশ থেকে তাদের আনা হয়েছে। এখনো বেশকটি দেশে আরও কয়েক হাজার আমেরিকান ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। আমরা চেষ্টায় আছি সবাইকেই ফিরিয়ে আনতে।’

সর্বশেষ খবর