সারা দেশে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত চার হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে মাত্র ২৭৮টি কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে বলে জানা গেছে। আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মার্চ মাসের পাওনা সব শ্রমিককে বুঝিয়ে দিতে মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। গতকাল পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। তারপরও মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রভাব সম্পর্কে বিজিএমইএ বরাবর বলে আসছে প্রাণঘাতী করোনার কারণে এখন পর্যন্ত ১১২৩টি কারখানার ৯৬৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে পোশাক খাতে। পোশাক খাতে ২২ লাখ ৪ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। মালিকরা ২ শতাংশ সুদে এ টাকা নিয়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারবেন।
