সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে ১৫ দিনের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে ১৫ দিনের মধ্যে

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তুতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দুই হাজার বেডের পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু করতে চায় সরকার। এর বাইরে হবে ৭১ বেডের আইসিইউ ইউনিট। ইতিমধ্যে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটা চলমান রয়েছে। হাসপাতাল তৈরির কাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

গতকাল আইসিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা সিটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম। আইসিইউ ইউনিটের জন্য অনেক মালামাল বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন পড়ায় হাসপাতাল তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, আইসিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির পর সেখানে হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন করেন। প্রাথমিকভাবে সেখানে দুই হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই মোতাবেক ক্রয় কার্যক্রম আগেই শুরু হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মাসুদুল আলম বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বেড, পার্টিশনের মালপত্র চলে আসবে। আইসিইউ ইউনিটের জন্য অধিকাংশ সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। এসব মালামাল কার্গো বিমানে করে আসবে। বৈশ্বিক লকডাউন পরিস্থিতিতে এগুলো আসতে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার চেষ্টায় আছি। ১০-১২ দিনের মধ্যে আইসিসিবির এক্সপো জোনে দেড় হাজার বেডের হাসপাতাল ইউনিট প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে যেহেতু মালামাল বাইরে থেকে আসছে, সেখানে কয়েক দিন বেশি সময় লেগে যেতে পারে।’

দুর্যোগের সময় পুরো কনভেনশন সিটি হাসপাতালের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান মাসুদুল আলম। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে। আর হাসপাতাল স্থাপনের যাবতীয় ফ্যাসিলিটি বসুন্ধরা নিজ খরচে ব্যবস্থা করছে। এ ছাড়া আইসিইউ ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর স্টকে আছে। চিকিৎসক, নার্সসহ জনবলের যাবতীয় সাপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থা করবে। আইসিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বসুন্ধরা থেকে আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, যত দিন এই মহামারী থাকবে তত দিন এই হাসপাতাল চালু থাকবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ পুরোদমে চলছে। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। হাসপাতালের জন্য অতিরিক্ত ওয়াশিং সুবিধা থাকতে হবে। আমরা সেই কাজ আগেই শুরু করে দিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর