সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার কোনো স্বীকৃত ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি

মাহমুদ আজহার

করোনার কোনো স্বীকৃত ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি

অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী কভিড-১৯ প্রতিরোধে এখনো কোনো স্বীকৃত ওষুধ আবিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন রোগ বিজ্ঞানের বিশিষ্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, আমেরিকা, জাপান ও চীন কিছু কিছু ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে। কেউ কেউ অনেকটা সফল হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা এও বলছেন, এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। সংশ্লিষ্ট দেশ বা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এখনো ওইসব ওষুধের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তাই কভিড-১৯ প্রতিরোধে এখনই কোনো ধরনের ওষুধ আবিষ্কার হয়নি বলা যায়। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাবেক এই রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বিকল্প ধারার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ থানকুনি পাতা, কালিজিরা, অ্যাভিগান, ইথানল, এজিথ্রোমাইসিন বা হাইড্রোক্লোরোকুইনকে করোনার ওষুধ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। আমি মনে করি, এটা ঠিক নয়, এটা স্বীকৃত নয়। তাই না জেনে কোনো ওষুধ চালিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। করোনা থেকে সচেতনতায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জনসমাগম এড়াতে দুই মিটার দূরে থাকতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ দুই মিটারের ব্যাখ্যা দিচ্ছে তিন ফুট দূরত্ব। এটা ঠিক নয়। এটা হবে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব। সরকারকে এই ভুল ভাঙাতে হবে। জনগণকে বলব, আপনারা প্রয়োজনে বাইরে বেরুলে অন্তত ছয় ফুট দূরত্বে অবস্থান করুন। 

ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, করোনা রোগীর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর নেই। বিশেষ করে নিউমোনিয়া হলে ভেন্টিলেটরের বিকল্প নেই। করোনাকে ভয় নয়, সচেতনভাবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে হবে। আমাদের এখন অনেকেই জ¦র, কোমর ব্যথা বা বাতের সমস্যা হলে আইভুপেন বা ইনফ্লাম ওষুধ নেন। এটা বন্ধ করতে হবে। কোনো করোনা পজেটিভ রোগীর এসব সমস্যা থাকলে তার ওইসব ওষুধ সেবন করা যাবে না। এতে সমস্যা অনেক বাড়বে। 

রোগ বিজ্ঞানের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কভিড-১৯ ধীরে ধীরে একটা বড় সমস্যার আকার ধারণ করছে। বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীর দিকে যাচ্ছে। এ বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে  আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। সব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সবাইকে পিপিইসহ সব ধরনের প্রোকেটশন থাকতে হবে। দেশবাসীকে সচেতন করতে হবে। সবাই মিলে লড়াইয়ে শামিল হলে অবশ্যই আমরা সফল হব।

সর্বশেষ খবর