শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জ্বর সর্দি শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। একদিকে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, অন্যদিকে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ। গতকাল এমন অন্তত ৭ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিক  কোয়ারেন্টাইনে থেকে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা করোনায় মৃত্যুর চেয়ে বেশি। মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা পজিটিভ আসছে। অনেকের আসছে নেগেটিভ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব মৃতদেহ দাফনে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সিলেটে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশু গতকাল মারা গেছে। নগরীর উপশহরে মারা যাওয়া শিশুটির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গতকাল রাশিদা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রাশিদার বাড়ি সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মাছখালী গ্রামে। তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল দুই যুবক মারা গেছেন। তাদের একজনের বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে এবং আরেকজন মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের দুজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগী গতকাল মারা গেছেন। সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের শেখ নূরুল ইসলাম (৫০) নামের ওই ব্যক্তি গতকালই করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ফরিদপুরের নগরকান্দায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসি বেগম (৩৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে নিজবাড়িতে তিনি মারা যান। হাসি বেগম গত কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। তার স্বামী হায়দার শিকদার (৫০) এবং ছেলে আবুল বাশার মিয়াও (২০) অসুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ২৮ বছর বয়সী এক যুবক গতকাল মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার নমুনা পরীক্ষা করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট না আসায় তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা এখনো জানা যায়নি। টাঙ্গাইলে শ্বশুরবাড়িতে তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা ও গলাব্যথায় ভুগে বুধবার বাবার বাড়িতে এসে মৃত্যুবরণ করেছেন সোনিয়া আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ। সখীপুরের কালিয়া উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার নমুনা সংগ্রহ করে গতকাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ঘাটাইল উপজেলার গারোবাজার এলাকায়।

সর্বশেষ খবর