শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু

২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫ জন, আক্রান্ত ২৬৬ । ২০টি ল্যাব স্থাপন প্রতিদিন ১ লাখ পিপিই দেওয়া হয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু

করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক ১৫ জন মারা গেছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। এ পর্যন্ত ৭৫ জন মারা গেছেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে। আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম-বেশি হলেও মৃত্যুর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জনে। রোগীর তথ্য গোপনের কারণে মিটফোর্ড হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২১-৩০ বছরের তরুণরা। দেশের ৪০ জেলায় ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া ব্যক্তিরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাসের বাহক। ঢাকা শহরের মধ্যে মিরপুরে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের বাইরে নতুন হটস্পট হিসেবে দেখা দিয়েছে গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,  করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে আরও নয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা করোনাভাইরাসের রোগীর জন্য বেশি প্রয়োজন। তবে করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেন সাপোর্ট ও কিছু ওষুধ লাগতে পারে। সারা দেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন। অর্থাৎ প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন। এই হারে ১০ হাজার রোগী যদি আইসিইউ সাপোর্ট নেন, তাহলে ১৮০টি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট লাগবে। ভার্চুয়াল হেলথ বুলেটিনে আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত এক হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫শ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে ও ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তবে হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের সবার ক্ষেত্রে ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। সামাজিক চাপের কারণে তাদের বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনেও বলা আছে, কেউ চাইলে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন, এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কম পড়বে।

তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর বয়স বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১-৩০ বছর বয়সী ২১ শতাংশ। ৩১-৪০ বছর বয়সী প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ৪১-৫০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১-৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নারী-পুরুষ বিভাজন দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। এরপর ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের। রাজধানীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রথমে টোলারবাগে শনাক্ত হলেও এখন তা মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে ৪ শতাংশ করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনা আক্রান্ত : রোগীর স্বজনদের মিথ্যা তথ্যের কারণে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঁচজন চিকিৎসক ও নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী জানান, সংক্রমিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত সার্জারি ও গাইনি বিভাগের পাঁচজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন অন্য স্বাস্থ্যকর্মী। গত শনিবার সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়। সেই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত এক চিকিৎসক বলেন, ‘গত শনিবার সার্জারি বিভাগে একজন রোগী আসে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেদিনই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। রোগীরা স্বজনরা জানান, তারা মাদারীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে জ্ঞান ফেরার পর রোগীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। পরে চিকিৎসকরা কভিড-১৯ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন জানা যায়, রোগী করোনা পজিটিভ। তখনই ইমার্জেন্সি ওটি এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। আমরা যারা সেই রোগীর সঙ্গে ছিলাম তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যাই। নিজেদের টেস্ট করাই। আমাদের পাঁচজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন বয় কডিভ-১৯ পজিটিভ। আরও কয়েকজনের রিপোর্ট কাল (আজ) আসবে।’ যারা পজিটিভ তাদের পরিবারও এখন ঝুঁকিতে এবং তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু একটা মিথ্যা তথ্যের জন্য এতগুলো মানুষ ঝুঁকিতে। দয়া করে কেউ হাসপাতালে এসে মিথ্যা বলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’ ঢাকার বাইরে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রামে আক্রান্তের হার বেশি। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানান, নারায়ণগঞ্জে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হচ্ছে দুজন। আর প্রতি ৮ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে একজন। গতকাল পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬১ জন। মারা গেছেন ২০ জন। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। গতকাল চট্টগ্রাম ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি নগরের পাহাড়তলী থানার সাড়াইপাড়ার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে ৩৩ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন মারা যান। বর্তমানে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় নতুন করে ১৩ জনসহ মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩ জন, সিরাজদিখানে ৩ জন, গজারিয়ায় ১ জন, লৌহজংয়ে ২ জন, টঙ্গিবাড়ীতে ১ জন এবং শ্রীনগরে ৩ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ। সিভিল সার্জন আজাদ আরও জানান, মুন্সীগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৩ জনের ফলাফলে পজেটিভ আসে। জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে রাজধানীর কুর্মিটোলা ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ২১১ জন। এ ছাড়া জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ জন। এর মধ্যে জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় সর্বাধিক ২৩ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২ জন এবং গাজীপুর সদরে ৬ জন। গাজীপুর জেলার মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এর মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন, একটি এগ্রোফিড প্রতিষ্ঠানের ১৭ জন শ্রমিক সংক্রমিত হয়েছে। এই জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এখানে করোনাভাইরাস দ্রুত বাড়ার পেছনে মানুষের চলাচল, সংস্পর্শ এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশনসহ কয়েকটি কারণ দায়ী। কভিড- ১৯ পজিটিভ হওয়া পাবনায় আক্রান্ত যুবককে (৩২) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ওই রোগীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুয়াইবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আক্রান্ত যুবককে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এ ছাড়া তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের ১৩ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি আখাউড়া ও অন্যজনের নাসিরনগর উপজেলায়। বগুড়ার আদমদীঘিতে এক পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি তথ্য গোপন করায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) একটি ওয়ার্ড লকডাউন করে ওই ইউনিটের চিকিৎসক নার্সসহ ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত বরিশাল জেলায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন।

চাঁদপুরে আরও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি ফরিদগঞ্জ উপজেলার। গতকাল চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জনের তথ্য অনুযায়ী এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। মারা গেছেন একজন। লক্ষ্মীপুরে নারী ও শিশুসহ নতুন করে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবদুল গফফার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদের ৬ জন নারী ও একজন শিশু। আক্রান্তদের ১৪ জনই রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ফেনীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা। জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডায়ালাইসিস করতে আসা দুই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ইউনিটের ১০ জন চিকিৎসকসহ, ব্রাদার-সিস্টার ও ওয়ার্ড বয় মিলিয়ে ২৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ডায়ালাইসিস ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক জানান, ‘এ খবর জানার পর থেকেই আমাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সতর্কতার জন্যই আমরা এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।’ নরসিংদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও তিন চিকিৎসকসহ ২৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট কভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ জন। এর মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। নরসিংদী জেলা করোনা প্রতিরোধ ইমারজেন্সিী সেল প্রধান ও অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কিশোরগঞ্জে আরও ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান গতকাল বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন। শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছে নয়জন। ওই চিকিৎসকদের কর্মস্থল নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর